হ্যাকিংয়ে আমিরাতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে দোহা
কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল সংযুক্ত আরব অামিরাত। কিন্তু দোহার দাবি, আমিরাত থেকেই যে কাতারের সরকারি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রমাণ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দলের কর্মকর্তারা দাবি করেন, এপ্রিলের শুরু থেকেই কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) হ্যাক করার পরিকল্পনা করা হয়।
তবে সরাসরি আমিরাত সরকারের নাম উল্লেখ করেনি কাতার। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাণলয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে এ বিষয়ে জানি যে, আমিরাত থেকেই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।’
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। ভিডিওতে বলা হয়, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ভিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এপ্রিলের শুরুর দিকেই হ্যাকাররা কিউএনএ’র ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সহকারি পরিচালক ক্যাপ্টেন ওঠমান সালেম আল হামুদ আল জাজিরাকে বলেন, হ্যাকাররা খুবই পেশাদার ছিল এবং এর পেছনে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মে মাসের শেষের দিকে কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্ট (কিউএনএ) এবং সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়। হ্যাকাররা কিউএনএর ওয়েবসাইটে একটি ভুয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়। এর পরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে কাটারের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়।
২৪ মে গভীর রাত থেকে ২৫ মে ভোর পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সাইবার হামলা চালানো হয়। পরে কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের আইটি বিশেষজ্ঞরা পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
টিটিএন/এমএস