রাইসিনা হিলের লড়াইয়ে কোবিন্দর জয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২০ জুলাই ২০১৭

 

 

ভারতের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির দলিত সম্প্রদায়ের নেতা ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’র (এনডিএ) প্রার্থী রাম নাথ কোবিন্দকে সরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এর মাধ্যমে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবন রাইসিনা হিলের মসনদে বসছেন বিহার রাজ্যের সাবেক এই গভর্নর। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, রাম নাথ কোবিন্দ ইলেক্টরাল কলেজের মোট ভোটের ৬৫.৬৫ শতাংশ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধী জোটের প্রার্থী মীরা কুমার মাত্র ৩৪.৩৫ শতাংশ ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।

সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের ৭৭১ সদস্য ও ৪ হাজার ১০৯ জন বিধায়ক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, এনডিএ জোট প্রার্থী রাম নাথ কোবিন্দ পার্লামেন্টের সদস্যদের ৫২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মীরা কুমার পার্লামেন্টের সদস্যদের ২২৫ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে লড়াই করা দুই প্রার্থিই ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের।

পেশায় আইনজীবী রাম নাথ কোবিন্দ এর আগে দেশটির উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্য সরকারে কাজ করেন। কোবিন্দ ভারতের নিম্নবর্গ মোর্চা ও অল ইন্ডিয়া কোলি সমাজের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত।

১৯৭২ সালে দিল্লির বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন কোবিন্দ। দিল্লির হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ১৬ বছর ধরে কাজ করেছেন তিনি।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর বিহার রাজ্যের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। ১৯৯৪-২০০০ ও ২০০০-২০০৬ সালে দুই মেয়াদে উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

লখনোউ’র বিআর আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৭১ বছর বয়সী নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের গভর্নর বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সূত্র : পিটিআই, এএনআই।

এসআইএস/আরআইপি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।