আইএস`র কারণে বিলুপ্তির হুমকিতে বিরল প্রজাতির পাখি


প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২৫ মে ২০১৫

সিরিয়ার পালমিরা ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কব্জায় চলে যাবার ফলে একটি বিরল প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাখি বিশেষজ্ঞরা। -খবর বিবিসি বাংলার।

২০০২ সালে শহরটির কাছে নর্দার্ন বল্ড আইবিস পাখির একটি ছোট প্রজনন কলোনি পাওয়া যায়। তবে গতসপ্তাহে লড়াই শুরু হবার পর সংরক্ষণে রাখা তিনটি পাখিকে রেখে দ্বাররক্ষীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পাখিগুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা আর জানা যায়নি।

এদিকে নিরুদ্দেশ অপর একটি পাখির সংবাদ প্রদানের জন্য ১০০০ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কর্মকর্তারা।

লেবাননে প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি জানায়, জেনোবিয়া নামের একটি স্ত্রী-পাখির খোঁজ পাওয়া এখন খুবই জরুরী। এই প্রজাতির পাখিরা শীতকালে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং ইথিওপিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। জোনেবিয়াই এই প্রজাতির একমাত্র পাখি যে ইথিওপিয়া যাবার সেই রাস্তাটি চেনে এবং তাকে ছাড়া অন্যান্য বন্দী পাখিগুলোকে ছাড়া সম্ভব হবে না।

প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতির প্রধান আসাদ সেরহাল বলছেন, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি হাতে হাত ধরে চলে। যুদ্ধ হয়তো বন্ধ হবে, কিন্তু এই প্রজাতিকে বিলুপ্তি থেকে কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না।

এছাড়া পাখি বিশেষজ্ঞরাও জানান, পাখিগুলোকে ছাড়া সম্ভব না হলে সিরিয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছিল ঐ পাখিটি এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৩ বছর আগে পালমিরার কাছে এই প্রজাতির সাতটি পাখির একটি বসতি খুঁজে পাওয়া যায়। সংরক্ষণ করার পরও বর্তমানে তাদের মধ্যে মাত্র চারটি বন্য পাখিই অবশিষ্ট ছিল।

পালমিরার পাশে ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আইএস জঙ্গিরা ইরাকের বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা ধ্বংস করেছে। খুব সম্প্রতি প্রাচীন শহর নিমরুদ, যেটি ছিল ইরাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের একটি।

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।