পরিবহন ধর্মঘটে ট্রেনের শিডিউলেও বিপর্যয়
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৭ম দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলের যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। একদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ অন্যদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তির মধ্য পড়তে হচ্ছে সব যাত্রীদের।
সোমবার খুলনা রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অসহনীয় গরমের মধ্যে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। আবার শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মেও। শুধু তাই নয় অনেক কষ্ট করে ট্রেনে ওঠার পর আর নড়াচড়াও করা যায় না। টয়লেটের সামনেও যাত্রীবোঝাই হয়ে থাকছে।
গাদাগাদি করে ট্রেনে উঠলেও গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক যাত্রী। শুধু দূরপাল্লার যাত্রীরাই নয়। বিপাকে পড়েছেন আঞ্চলিক রুটের যাত্রীরাও। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অফিসগামী লোকজনকেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠেলাঠেলি করে মাহেন্দ্র বা ইজিবাইকে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।
এদিকে রেলপথে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা ও রাজশাহী থেকে খুলনা রুটে চলাচলকারী চারটি ট্রেনে রেল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বগি যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
খুলনা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। যারা বাসের ছাদে মালামাল বহন করতেন তাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক বা পিকআপে করে পণ্য বহন করছেন।
খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জাগো নিউজকে জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দাহ্য পদার্থবাহী ট্যাংকলরি সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করছে। সোহাগ পরিবহনের বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ তিন শ্রমিকের মুক্তি এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় ট্যাংকলরি চালকদের পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক।
শনিবার রাতে জরুরি সভা শেষে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আলমগীর হান্নান/এমজেড/আরআই