দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে দরিদ্র পরিবারের অনেক তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৭

রাতপাখি, সন্ধ্যাতারা, ফুল কি বা মধু। প্রত্যন্ত এলাকা বা গ্রাম থেকে আসা কিছু তরুণীকে এই নামেই চেনেন শহরের অনেকেই। তাদের ছবি রয়েছে। সেই ছবিই আগে যায় খদ্দেরের হাতে। ক্যাটালগের মতো করেই ছবি রাখা হয়। সেই ছবির নিচে লেখা থাকে তাদের সঙ্গ পাওয়ার জন্য কত ব্যয় করতে হবে। 

এখানেই শেষ নয়; তারও নানা হিসাব রয়েছে। ঘণ্টা পিছু বা দিনের হিসেবে টাকার অঙ্ক ওঠানামা করে। কেউ যদি তাদের কাউকে নিয়ে বাইরে যান, তাহলে আর এক রকম খরচ পড়ে। শহরজুড়ে দেহব্যবসার নানা ধরনের এ চিত্র ভারতের কোচবিহার জেলার। 

কোচবিহারে মধুচক্রের হদিশ পাওয়ার পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরজুড়ে এই ব্যবসা ছড়িয়েছে। এতে জড়িয়ে পড়ছে গরিব পরিবারের অনেক মেয়েই। তাদেরই একজন নাম না জানানোর শর্তে বলেন, ‘বাড়িতে অভাব। এছাড়া কোনো উপায় ছিল না। অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়।’

worker

পুলিশ বলছে, শনিবার কোচবিহার শহর এলাকার হরিশপাল চৌপথীর পাশের একটি ভবনে হানা দিয়ে একটি মধুচক্রের কারবারের হদিস মিলেছে। এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। আগেও হোটেল থেকে দোকান একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকজন ধরাও পড়েছে। 

শনিবারের ঘটনার পর আবারও এ চক্রের দৌরাত্ম্য সামনে এসেছে। কারা এ ব্যবসায় মদদ দিচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। 

কোচবিহার পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, লাগাতার অভিযান চলবে। তদন্তে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হবে। 

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শনিবার ওই ভবন থেকে তিন যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তারা রাজ্যের মাথাভাঙা ও দিনহাটার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। আনন্দবাজার। 

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।