জয়ললিতার শপথ নিয়ে বিতর্ক


প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ২৪ মে ২০১৫

তামিলনাড়ুর নতুন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি যেমন ছিলো তেমনি অনুষ্ঠানও হলো জাকজমকভাবে। কিন্তু ঝামেলা বাধে অন্য জায়গায়। জাতীয় সঙ্গীতের শুধু দু’লাইন বাজিয়ে শপথেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন নতুন এ মুখ্যমন্ত্রী।

মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিপক ক্যাম্পাসে জয়ললিতার শপথের রং ছিল সবুজ। পরনের শাড়ি থেকে সই করার কলম, সবই তার পছন্দের রঙের ছিলো। অতিথির তালিকায় রাজনীতিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত, অভিনেতা শরদকুমার, শিল্পপতি এন শ্রীনিবাসন-সহ অনেকেই।

ললিতার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরো ২৮ মন্ত্রী। এক এক জন করে না ডেকে দু’বারে ১৪ জন করে গণ শপথ পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল কে রোসাইয়া। বিষয়টি নতুন। টুইটারে তা নিয়ে সরস মন্তব্যও দেখা গেছে। কিন্তু সংবিধানে গণশপথে কোনো বাধা নেই। জাতীয় সঙ্গীতের দু’লাইন বাজানো নিয়ে অবশ্য প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে।

শপথের আগে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়, প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। তার পরে তামিল দেবীর আবাহনের সঙ্গীত। কিন্তু অনেককেই অবাক করে জাতীয় সঙ্গীতের কেবল প্রথম ও শেষ লাইন বাজানো হয়। তারপর শুরু হয় তামিল দেবীর আবাহন সঙ্গীত। শপথের পরে অবশ্য পুরো জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। স্বভাবতই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটারে অনেকেরই বক্তব্য, কেবল জয়া হে, জয়া হে, জয়া হে শোনা গেল...তামিলনাড়ুতে বোধহয় এটাই জাতীয় সঙ্গীত।

কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নিয়ম কী? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, নয়টি ক্ষেত্রে জাতীয় সঙ্গীত পুরো ৫২ সেকেন্ড জুড়ে বাজাতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বা উপ-রাজ্যপাল আসা বা চলে যাওয়ার সময়ে। জয়ললিতার শপথের অনুষ্ঠানটি এ শ্রেণিতে পড়ে। সেনাবাহিনীর মেসে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম সময় ধরে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নিয়ম রয়েছে।

দক্ষিণের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি বলেন, এমন হবে ভাবাই যায় না। কী প্রতিক্রিয়া দেব তা ভেবে পাচ্ছি না।

এসকেডি/বিএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।