অভিশংসন ক্ষমতা সংসদে গেলে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না


প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সংসদের বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকেলে রাজধানীর গণগ্রন্থাগরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সদন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে জনগণের সমর্থন নেই এই সংসদের বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না। বিশেষ একটি দলের বিচার হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ব্যাপারে সংসদে যে বিল আনা হচ্ছে তাকে বিএনপি সমর্থন করে না। গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র-ক্ষুধামুক্ত ও দুর্নীতি-অনাচারমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায়, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বৈষম্য দূর এবং সমাজ পরিবর্তনে তরুণ ও নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ থেকে বাংলাদেশের প্রার্থীতা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সফর করে গেলেন। বাংলাদেশকে আগের চেয়েও বেশি আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিনিময়ে আমাদের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচন থেকে সরে আসতে হয়েছে। অথচ ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান জাপানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন।
 
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, তোমাদের অগ্রজরা যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। এখন তোমাদের জ্ঞানার্জন করে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। এজন্য সবাইকে আরো ত্যাগ শিকার করতে হবে। গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। তোমাদের নেতৃত্বে এ দেশ আরো মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

আমরা ‘ক জন’ নামের একটি সংগঠন এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০০শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।