ট্রাম্পের ফ্রান্স সফরেও রুশ কেলেঙ্কারি!


প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৭

রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগে জেরবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু ছেলে ট্রাম্প জুনিয়রকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ ‘রাশিয়া-কেলেঙ্কারি’ তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ১৪ই জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প।

নেপোলিয়নের সমাধি পরিদর্শন করবেন, আইফেল টাওয়ারের বিখ্যাত রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করবেন তিনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আশা করছেন, যাবতীয় মতপার্থক্য সত্ত্বেও এই সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অন্তত চলনসই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচনের সময় ট্রাম্প টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসূত্র নিয়ে ওয়াশিংটনে তোলপাড় চলছে।

প্রেসিডেন্টের পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে এক রুশ আইনজীবীর সাক্ষাতেরবিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়ে চলেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। রুশ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রশ্নে নিজের পুত্রের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এই সাক্ষাতের কথা জানতেন না।

রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই ঘণ্টারও বেশি এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ট্রাম্প নাকি ২০-২৫ মিনিট ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। পুতিন এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ট্রাম্প এ বিষয়ে সংশয় দূর করতে পারেননি।

ট্রাম্পের মতে, নির্বাচনের সময় অবশ্যই কিছু একটা হয়েছিল। এখন সেই সত্য উন্মোচন করতে হবে। তবে তার টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেছেন, যে বেশিরভাগ প্রশ্নে তার সঙ্গে পুতিনের মতপার্থক্য রয়েছে।

পুতিন হয়তো হিলারি ক্লিন্টনকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চেয়েছিলেন। এদিকে মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন ২০১৩ সালের ১৫ জুন তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সেই সব ব্যক্তিদের দেখা যাচ্ছে, বর্তমান ‘ই-মেইল কেলেঙ্কারি’ সংক্রান্ত বিতর্কে যাদের নাম উঠে আসছে।

রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগে ডোমোক্র্যাটিক দলের সংবাদ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এক আনুষ্ঠানিক আবেদন পেশ করেছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে এখনই এই ‘ইমপিচমেন্ট' প্রক্রিয়া সম্ভব না হলেও এই পদক্ষেপের প্রতীকী তাৎপর্য নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। সূত্র : ডি-ডব্লিউ

এসআইএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।