কাতারের অবস্থান অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত : যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৭

দোহায় পৌঁছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে মাসব্যাপী চলমান কূটনৈতিক সংকটে কাতার সরকারের অবস্থান যুক্তিসঙ্গত। মঙ্গলবার রাজধানী দোহায় পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি কাতার তার অবস্থানে বেশ পরিষ্কার; যা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।

সৌদি নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী চার দেশ কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সমর্থনের অভিযোগ এনে দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে কাতার বরাবরই এ অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে সহায়তার লক্ষ্যে চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে কাতারে পৌঁছেছেন রেক্স টিলারসন। সেখানে তিনি কাতারের আমির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন রেক্স টিলারসন।

এর আগে সোমবার কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহ ও দেশটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুয়েতের আমির মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, আমরা এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি; যা শুধুমাত্র আমাদেরকেই উদ্বিগ্ন করছে না বরং পুরো বিশ্বই উদ্বিগ্ন।

বুধবার মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের জেদ্দায় সম্পর্কচ্ছেদকারী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই এই সংকটের প্রত্যাশা করছেন না টিলারসন। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংকট সমাধানে কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

কাতারের এ সংকট নিরসনে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে গত শুক্রবার রিয়াদে যান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোরিস জনসন। উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনা কমিয়ে আনতে কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করেন তিনি।

গত ৫ জুন সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো উপসাগরীয় প্রতিবেশি কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এর জেরে গত দশকের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয় উপসাগরীয় অঞ্চলে। কাতারে বিরুদ্ধে চরমপন্থা সমর্থন ও সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘণিষ্ঠতার অভিযোগ আনা হয়। কাতার এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।

সংকট নিরসনে সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো গত ২২ জুন ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় কাতারকে। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগসহ ওই ১৩ শর্তের জবাবের জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। সেই সময় শেষ হওয়ার পর কাতারের অবস্থান জানতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশগুলো দোহাকে আরও ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় দেয়।

পরে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি কুয়েতে সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে ১৩ শর্তের জবাব হস্তান্তর করেন। কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন ৪টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কুয়েত।

সূত্র : আল-জাজিরা।

এসআইএস/জেআইএম

আমি মনে করি কাতার তার অবস্থানে বেশ পরিষ্কার; যা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।