মুশফিককে নিয়ে শঙ্কায় বিসিবি
ইনজুরি যেন পিছুই ছাড়ছে না টাইগার অধিনায়ক(টেস্ট) মুশফিকুর রহিমের। ব্যক্তিগত ছুটি কাটিয়ে দলীয় অনুশীলনে ফিরলেও তার ডান হাতের আঙ্গুলের ইনজুরি পুরোপুরি না সারায় তাকে ফের বিশ্রামে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাজেই মুশফিকের মাঠে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এর আগে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অংশ নেয়ার সময়েই ইনজুরির কবলে পড়েন তিনি। তার ডানহাতের আঙ্গুলে কিছুটা আঘাত লেগেছিল। এরপরও দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা যায়নি মুশফিকুরকে।
ডান হাতে ব্যথা অনুভূত হওয়ায় বৃহস্পতিবার ফের পরীক্ষা করার পর তাকে আরো এক সপ্তাহের জন্য পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেবার পরামর্শ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিশিয়ান দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘মুশফিকুরের হাতের আঙ্গুলে ব্যথা অনুভূত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে পরীক্ষা করার পর এক সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহ পর তাকে ফের পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
এদিকে টাইগার দলের পেসার রুবেল হোসেনও পরিপূর্ণ ফিটনেস ফিরে পায়নি বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ।
তিনি বলেন,‘ মামলা সহ ব্যক্তিগত কিছু কাজের কারণে রুবেল আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে কয়েকদিন সময় দিতে পারেননি। তাই তাকে ফিটনেসে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে এখন তিনি নিয়মিত সময় দিচ্ছেন। আশা করি সময়মত তিনি পরিপূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাবেন।’
এদিকে তামিম ইকবালসহ টাইগার দলের আরো কয়েকজন খেলোয়াড়ের ছোটখাট কিছু সমস্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিসিবির এই ফিজিশিয়ান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পাবার আগে এসব খেলোয়াড় যদি ফের বিসিএলে অংশগ্রহণ করে তাহলে হয়তো সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে হবে।
তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা ঢালাওভাবে হয়তো সব খেলোয়াড়কে বিসিএলে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে পারবনা। ভারত সফরের আগে কোন রকম ঝুঁকি নেয়া যাবেনা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমরা খেলোয়াড়দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি বলেন, ‘ভারতীয়দের বাংলাদেশ সফরের আগে যে সময়টুকু রয়েছে তার মধ্যে সব খেলোয়াড়রা পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পাবে। এ বিষয়ে শঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই।’
সফরকারী ভারতের সংগে একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১০ জুন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শুরু হবে টেস্টটি।
এরপর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে অবতীর্ণ হবে দল দু’টি। ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে ১৮, ২১ ও ২৪ জুন ।
এসকেডি/এসএইচএস/পিআর