‘পশ্চিমবঙ্গে বিদেশিদের দিয়ে দাঙ্গা করাচ্ছে কেন্দ্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৭

 

আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিয়ে বিদেশিদের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার দাঙ্গা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দাঙ্গায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সোমবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন তিনি।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত খুলে দিয়ে বিদেশিদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা সহিংসতা করছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সীমান্ত খুলে রেখেছে এবং তাদেরকে প্রবেশ করাচ্ছে। এখন রাজ্যের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হচ্ছে। কারণ আমরা রাজ্য সরকারে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের পরও মানুষকে শান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি।

কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তাহলে কেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র? কেন তারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে? এমন প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, আমি এসবের জবাব চাই। 

রাজ্যের দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলছি, কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দার্জিলিংয়ে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। 

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেন, মানুষের মাঝে বিভাজন তৈরিতে কখনোই সমর্থন দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ। 

তিনি বলেন, আমরা (পশ্চিমবঙ্গ) মানুষের মাঝে বিভাজন তৈরি করতে চাই না। দিল্লি করলেও পশ্চিমবঙ্গ করে না। যদি ক্ষমতায় থাকতে চায় তাহলে কেন্দ্রের উচিত সব ধর্মকে নিয়ে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাচ্ছে তা অনুস্মরণ করা।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙনের রাজনীতি চলছে এবং এর পেছনে বিজেপি জড়িত। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে অস্থিরতা ও বাদুরিয়া দাঙ্গায় বহিরাগতরা জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিভেদমূলক রাজনৈতিক খেলা সহজ হবে না। আমাদের একটা ইতিহাস আছে। বাইরে থেকে লোক এসে রাজ্যে দাঙ্গা তৈরির চেষ্টা করেছে। 

সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।