বকেয়া বেতনের দাবিতে ব্যাংক ঘেরাও
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বন্ধ ঘোষিত সেনসিবল ফ্যাশন লিমিটেড গার্মেন্ট শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে ডিআইটিতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের নিচের অবস্থান ধর্মঘট পালন করে শ্রমিকেরা।
এসময় শ্রমিকেরা বলেন, ব্যাংকের স্বার্থে কারখানায় তালা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বকেয়া বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। এলসির ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় গার্মেন্টসে তালা দেয়া হলে প্রয়োজনে গার্মেন্টেস মেশিন যন্ত্রাংশ বিক্রি করে বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় ব্যাংকের সামনে আমরণ অনশন ধর্মঘট পালনের হুশিয়ারি দেন শ্রমিকরা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক বলেন, ব্যাংক টাকা পরিশোধের জন্য গার্মেন্টটি জব্দ করেছে। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের জন্য কী করবেন। এজন্যই শ্রমিকরা ব্যাংক ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট করছেন। এসব কিছুর পরেও যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে আমরণ অনশন ধর্মঘট পালন করা হবে।
সেনসিবল ফ্যাশনের আয়রণ শ্রমিক জামালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম শরীফ, হাসনাত কবির, সাইদুর রহমানসহ ওই গার্মেন্টের শ্রমিক রানু, রহিমা, মমতাজ, খুসিদা, আমেনা, সাবিনা, জরিনা, মো. জালাল, মো. হাসান, আলাউদ্দিন, মো. লাল মিয়া, রহিমাসহ শতাধিক শ্রমিক।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লা পশ্চিম ইসদাইর এলাকার সেনসিবল ফ্যাশন নামে গার্মেন্টটি ২৫ এপ্রিল কোন নোটিশ ছাড়াই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল এলসির মাধ্যমে ১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করায় সেনসিবল ফ্যাশন গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুজ্জামান প্রিন্সসহ মালিকপক্ষের ৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি দায়ের করে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) গোলাম মোস্তফা। পরবর্তীতে গার্মেন্টের গেটে তালা দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মো. শাহাদাত হোসেন/এমজেড/আরআইপি