পৃথিবীর চোখ ট্রাম্প-পুতিনে


প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৭

জি-২০ সম্মেলনের কোনো এক ফাঁকে আলাদা করে কথা হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রের দুই রাষ্ট্রপতির এটাই হবে প্রথম দেখা।

ট্রাম্প বলছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার একটা উপায় খুঁজতে চান। তবে সিরিয়া ও ইউক্রেনে রাশিয়ার ভূমিকা এবং মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের কারণে ট্রাম্পের সে আশা পূরণ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যাচ্ছে।

ট্রাম্প-পুতিনের সাক্ষাতে তাদের মুখভঙ্গি ও শরীরি ভাষার উপর কড়া দৃষ্টি থাকবে বিশ্লেষকদের। পুতিনের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প কতটা স্বচ্ছন্দে থাকবেন সেটি এখন বিশ্বরাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে ট্রাম্পের জন্য যেটি সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে সেটি হলো- ক্ষমতা গ্রহণের পর এখনও ট্রাম্প প্রশাসন তাদের রাশিয়া নীতি তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি হয়েছেন। এ ছাড়া অন্য আরও অনেক বিশ্বনেতাদেরও মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে যে, ট্রাম্পের প্রস্তুতি পুতিনের চেয়ে কম থাকবে।

সর্বশেষ যে মার্কিন নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প সেই নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখনও তদন্ত চলছে। তবে দুই পক্ষই শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ওয়ার্সতে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছেন, রাশিয়া যেন তাদের অস্থিতিশীলতা তৈরির কাজগুলো বন্ধ করে এবং সিরিয়া ও ইরানকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করে। এমন বক্তব্য দেয়ার পর অন্তত একজন রিপাবলিকানের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ট্রাম্প।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করে আসা রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর বলেছেন, মার্কিন বৈদেশিক নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা সপ্তাহের শুরুটা খুব ভালো হলো।

এ দিকে ওবামা প্রশাসনের আমলে মেরিল্যান্ড ও নিউ ইয়র্কে জব্দকৃত দুটি রুশ কূটনৈতিক সম্পত্তি ফেরত দেয়ার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা করছে- এমন খবরে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন তিন মার্কিন সিনেটর।

রিপাবলিকান সিনেটর জনি আইজ্যাকসন এবং মার্কো রুবি এবং ডেমোক্রেটিক সিনেটর জিন শাহীন চিঠিতে বলেছেন, সম্পত্তিগুলো ফেরত দেয়া হলে পুতিন আরও সাহস পাবেন ও পরবর্তীতে আবারও পশ্চিমা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের উৎসাহ পাবে রাশিয়া।

এ তিনজনই সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য।

তবে ক্ষমতাধর এই দুই দেশের পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে দেনা-পাওনার হিসেবটা কী হবে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি হোয়াইট হাউস।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়ায় দুই দেশে একসঙ্গে কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।

এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টিও ট্রাম্পের আলোচনা তালিকায় রয়েছে। রিপাবলিকান ফ্রান্সিস রুনি বলছেন, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প) কিভাবে রাশিয়াকে জড়াতে পারেন আমি সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।

সূত্র : রয়টার্স।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।