মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বাহরাইনের বাদশাহকে পুতিনের ফোন


প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৭

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে কাতারকে বেঁধে দেয়া সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশের ১৩ শর্তের ব্যাপারে আপোষ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রিয়াদ। এদিকে কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর কূটনৈতিক সংকটের বিষয়ে শনিবার বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল-খলিফার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদের সঙ্গে পুতিনের টেলিফোনে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ক্রেমলিন বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে জড়িত সব দেশের সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পুতিন।

গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের আংশিক সরকার, মালদ্বীপ, মৌরতানিয়া, সেনেগাল ও কমোরোস। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘণিষ্টের অভিযোগও আনা হয় কাতারের বিরুদ্ধে।

এ ৯ দেশ ছাড়াও জর্ডান, জিবুতি, চাদ ও নাইজার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরে। তবে কাতার বরাবরই সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের শনিবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সন্ত্রাসবাদে কাতারের অর্থায়ন বন্ধের দাবিগুলো আপোষহীন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্স নীতি থেকেই কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদি এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীতে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধে কাতার যে অঙ্গীকার করেছিল তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দোহা। কাতার সব ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুক্রবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি দেশটির বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আরব দেশগুলোকে আহ্বান জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।