কেম্যানের গভর্নর হচ্ছেন আনোয়ার চৌধুরী


প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ২৯ জুন ২০১৭

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কূটনীতিক আনোয়ার চৌধুরী যুক্তরাজ্যের কেম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

গত সোমবার তার নিয়োগের ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতর।

বর্তমানে পেরুতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পশ্চিম ক্যারিবীয় সাগরে ব্রিটিশ ভূখণ্ড কেম্যান আইল্যান্ডে গভর্নর হিসেবে তিনি যোগ দেবেন আগামী বছরের মার্চ মাসে। ওই ভূখণ্ডের বিষয়ে রাজতন্ত্রকে পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি গভর্নর হিসেবে তিনি ব্রিটিশ রানির প্রতিনিধিত্ব করবেন।

বাংলাদেশি এই বংশোদ্ভূত ২০০৪ সাল থেকে টানা চার বছর ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার ছিলেন। ওই সময় সিলেটে হজরত শাহজালাল (রা.)- এর মাজার প্রাঙ্গণে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।

হামলার ঘটনায় ওই সময় তিনজন নিহত এবং তিনিসহ ৪০ জন আহত হন। সম্প্রতি ওই হামলার মূল আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

টানা চার বছর বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৮ সালে ফিরে গিয়ে আনোয়ার চৌধুরী ২০১১ সাল পর্যন্ত ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ওই দফতরের আরও কয়েকটি পদে কাজ করেন তিনি। ২০১৩ সালে তাকে রাষ্ট্রদূত করে পেরুতে পাঠানো হয়।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতরের কূটনীতিক এক্সিলেন্স, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ক শাখা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-গভর্নমেন্ট বিভাগের পরিচালক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গভর্নর হিসেবে তিনি যেখানে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সেই কেম্যান আইল্যান্ডের আয়তন মাত্র ২৬৪ বর্গকিলোমিটার। এর রাজধানী জর্জটাউন। মাত্র ৬০ হাজার জনসংখ্যা। প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী গভর্নরই এ দ্বীপের প্রধান। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শে রানি গভর্নরকে নিয়োগ দেন। আর গভর্নর দ্বীপের প্রশাসন চালাতে নিয়োগ দেন একজন প্রিমিয়ার ও একটি কেবিনেট।

কেম্যান আইল্যান্ড হলো বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ব্যাংকিং সেন্টার। যেখানে ২৭৯টি ব্যাংক রয়েছে এবং এর মধ্যে ২৬০টি আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য অনুমোদিত।

কেএ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।