মুম্বাই হামলায় দোষী মুস্তফা মারা গেছেন


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৮ জুন ২০১৭
ফাইল ছবি

ভারতের মুম্বাইয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত মুস্তফা দোসা মারা গেছেন। বুধবার ভোরে বুকে ব্যথা নিয়ে কারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান তিনি।

গত মঙ্গলবারও তার মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ফাঁসি কার্যকর হওয়া ইয়াকুব মেমনের চেয়ে মুস্তফা বেশি অপরাধ করেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি।

মুম্বাইয়ের শেয়ার বাজার, একটি সিনেমাহল এবং দুটি মার্কেটে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ। ওই হামলায় দুইশ ৫৭ জন নিহত এবং সাতশ ১৩ জন আহত হন। এতোদিন পরে এসে ১৯৯৩ সালের ওই হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মুস্তফা। তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

পুলিশ বলছে, ১৯৯৩ সালের ওই হামলা চালানো হয়েছিল কয়েক মাস আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মুসলমানদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। মুস্তফা ছাড়াও ওই হামলায় অারও ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

২০০৩ সাল থেকে সাত বছরের মধ্যে ওই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালে অভিযোগ গঠন করে শুনানি শুরু হয়। চলতি মাসেই ওই মামলার সর্বশেষ রায় ঘোষণা করা হয়। তাতে তাদের মধ্যে একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালে প্রথম ধাপের বিচার প্রক্রিয়ায় ইয়াকুব মেননসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। এরপর উচ্চ আদালতে ঘুরে দণ্ড বহাল থাকায় ২০১৫ সালে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ইয়াকুবের ভাই টাইগার মেমন এবং মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। এ দুইজনসহ আরও কয়েক আসামিকে এখনও ধরতে পারেনি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

দ্বিতীয় ধাপের বিচারে সালেম ও দোসা হামলার ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

কেএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।