কাতার সংকট নিরসনে আল জাজিরা বন্ধের শর্ত


প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ২৩ জুন ২০১৭

কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য ১৩ টি শর্ত দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ। শর্তগুলোর মধ্যে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধের বিষয়টি সবার উপরে রয়েছে। দাবির তালিকা কুয়েতের মাধ্যমে দোহার কাছে পাঠানো হয়েছে। কাতার-সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের কথা জানিয়েছে কুয়েত। খবর রয়টার্সের।

দাবি পূরণের জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে, পরবর্তী সময়ে আর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। দাবি পাঠানো দেশ চারটি হল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন।

১৩ টি শর্তের প্রথমটি হল, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলটি বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর দেশগুলোতে চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে কার্যালয়ও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এবারের শর্ত হল, চ্যানেলটিই বন্ধ করে দিতে হবে।

দ্বিতীয় শর্ত, ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা এবং কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়া। এছাড়া মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কাতারে অবস্থান করা এই চার দেশের তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের সেই দেশগুলোর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন ও অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। দেশ চারটির বিরুদ্ধে কেউ কাজ করে থাকলে সে বিষয়েও তাদেরকে তথ্য দিতে বাধ্য থাকতে হবে।

তবে এর আগে কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। কারও অন্যায় আবদারে কাতার তাদের নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করবে না।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন শুরু হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড, আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে মোট নয়টি দেশ দোহার সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থনের সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।

ইসলামি জঙ্গিদের ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালেও সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল আবুধাবী ও সংযুক্ত মানামা।

কেএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।