কাতার সংকট : সৌদি নেতাদের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ


প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ২২ জুন ২০১৭

কাতার সংকট নিরসনে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ ও নতুন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বুধবার সৌদি নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, কাতারের সঙ্গে নয়টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে সৌদি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এরদোয়ান। আলাপকালে তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি।

তাছাড়া যুবরাজ হিসেবে প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এরদোয়ান। এছাড়া কথা হয়েছে, জি-২০ সম্মেলেনে আগামি জুলাই মাসে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের বিষয়েও।

এর আগে একের পর এক রাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের সময় দেশটির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল তুরস্ক।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নেতুত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত নয়টি রাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। মুসলিম ব্রাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

মাত্র ১৪ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কাতার থেকে সৌদি আরব, মিসর ও বাহরাইনের নাগরিকদের চলে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে এসব দেশ থেকে ওই সময়ের মধ্যেই কাতারিদের চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতারের জন্য আকাশসীমা, স্থল ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রতিবেশি দেশগুলো। এতে করে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে দোহা।

তবে দেশগুলোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার। এমনকি নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে কোনো রাষ্ট্রের নাক গলানোর অধিকার নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে দোহা। অন্যদিকে দেশটির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও তুরস্ক।

কেএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।