রাজ পরিবারের কেউ রাজা-রানি হতে চান না


প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২২ জুন ২০১৭

রাজ পরিবারের কেউ রাজা বা রানি হতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন প্রিন্স হ্যারি। প্রয়োজনের সময় নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালনেরও কথা জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের উত্তরসূরি প্রিন্স হ্যারি এসব কথা বলেন। খবর বিবিসির।

প্রিন্স হ্যারি বলেন, রাজ পরিবারের কেউ কি আছেন, যিনি রাজা বা রানি হতে চান? আমি মনে করি কেউ নেই। বরং রাজ পরিবারের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভেবে।

তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে কফিনের পেছনে সন্তানদের হেঁটে যাওয়ার বিষয়টি একদমই সঠিক ছিল না। ১২ বছরের শিশুকে এমনটি করতে বলা মোটেও ঠিক নয়।

প্রিন্সেস ডায়ানা প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। রাজ পরিবারের সব সদস্য ডায়ানার মৃত্যুর কয়েকদিন পর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে যোগ দিয়েছিলেন। সবার সঙ্গে লন্ডনের রাস্তা ধরে কফিনের পেছন পেছন হেঁটেছিলেন প্রিন্স হ্যারিও। ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল; যা সেসময় দেখেছিল বিশ্ববাসী।

Royal-Family

রাজপরিবারের সদস্য পিটার হান্ট বলছেন, না চাইলেও রানির উত্তরাধিকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিতে হয়। এ বিষয়টি অনেকের মনে প্রশ্ন জাগায়।

অনেকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে রাজপরিবারের দিকে আঙুল তুলছেন। একটি শিশুকে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে তার মায়ের কফিনের পেছনে হাঁটানো ঠিক হয়নি। ১৯৯৭ সালে রাজপরিবারের বিষয়টি বুঝা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

প্রিন্স হ্যারি আরও বলেন, নিজের কেনাকাটা আমি নিজেই করি। অনেক সময় যদিও একটু চিন্তা হয়। কেউ তার মোবাইলে আমার ছবি তুলল কি না, তা নিয়েও ভাবি। তবে আমি তুলনামূলকভাবে সাধারণ জীবন যাপন করি। আমার সন্তান হলে তেমনটা তাদেরও করার জন্য উদ্বুদ্ধ করব।

তবে শেষ পর্যন্ত তিনি একটি বাক্য বলে ফেলেন; যাতে অবচেতনে তার রাজা হওয়ার বাসনা চলে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এমনকি আমি যদি রাজাও হই, নিজের কেনাকাটা আমি নিজেই করব।’

কেএ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।