দাবদাহে পুড়ছে ফিনিক্স, বিমানের ফ্লাইট বন্ধ


প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ২১ জুন ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনার শহর ফিনিক্সে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। সেখানকার তাপমাত্রা এত বেশি যে তা বিশ্বের সর্বকালের জানা রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘর থেকে বেশিরভাগ মানুষ বের হচ্ছে না। বাইরে মানুষজন গাড়িতে বরফ নিয়ে চলাচল করছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমানের ফ্লাইট।

ফিনিক্সে গত সোমবার তাপমাত্রা মাপা হয় ১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। জাতীয় অাবহাওয়া সংস্থা এই তাপমাত্রাকে রেকর্ড পরিমাণ বলে দাবি করেছে। দাবদাহের কারণে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও অধিকাংশ বড় আকারের উড়োজাহাজই ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার মধ্যে চলাচলে সক্ষম।

আবহাওয়া উত্তপ্ত হওয়ার ফলে ফিনিক্স স্কাই হারবর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে এক সপ্তাহের জন্য ৫০টি ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের যাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে সপ্তাহান্তে বিকেল ৩টা এবং ৬টার ফ্লাইট চলবে। যারা অন্য ফ্লাইটের টিকিট নিয়েছেন; তারা বিনামূল্যে ফ্লাইট পরিবর্তন করতে পারবেন।

সোমবার ৫০টি ফ্লাইট বন্ধ করার পর মঙ্গলবার আরও সাতটি ফ্লাইটের জন্য দেরি করা হয়। যাতে আবহাওয়া একটু নরম হয়।

ফ্লাইটগুলোর মধ্যে অ্যামেরিকান ঈগল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বিমানগুলো ১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার উর্দ্ধে চলাচল করতে পারে না। তবে বাস, ট্রেন চলাচল করছে। তুলনামূলক কম তাপমাত্রা হওয়ায় বাসে সেরকম মাত্রাতিরিক্ত সমস্যা হচ্ছে না।

স্কাই হারবর এয়ালাইন্সের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে জানানো হয়েছে, অ্যামেরিকান ঈগল বাদে অন্য বিমানগুলোর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা বলছে, চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তারা আবহাওয়াকে অত্যন্ত উষ্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে ২৬ জুন ১৯৯০ সালে ১২২ ডিগ্রি ফারেহাইট তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেসময়ও বিমানের সকল ফ্লাইট বন্ধ ছিল।

মাত্র তিনবার সেখানে ১২০ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদ ক্রিস কুহেলম্যান ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, ১৯৯০ সালে দু’বার এবং ১৯৯৫ সালে একবার তাপমাত্রা ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়েছে।

তবে সেখানকার তাপমাত্রা ১০৫ থেকে ১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছা বড় ধরনের কোনো ঘটনা নয়। প্রতি বছরই সেখানকার লোকজন এরকম আবহাওয়া সহ্য করেন।

মঙ্গলবার ভোর চারটার সময় ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি ছিল বলেও জানান কুহেলম্যান। বর্তমানে সেখানে টিকে থাকাটাই দায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই ফিনিক্স শহর ছেড়ে কয়েকটা দিনের জন্য বেড়াতে চলে গেছেন অন্য স্থানের কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে। কেবল বিপদে আছেন তারাই, যাদের তেমন কোনো আত্মীয় নেই।

কেএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।