সিরিয়ায় শিশুসহ ২৩ নাগরিককে হত্যা করলো আইএস


প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৬ মে ২০১৫

সিরিয়ার প্রাচীন মরু নগরী পালমাইরার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জঙ্গিরা  নয় শিশুসহ  কমপক্ষে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। শুক্রবার এই ঘটনা  ঘটে বলে জানায় পর্যবেক্ষণ গ্রুপ । খবর এএফপির।

মানবাধিকার বিষয়ক সিরীয় পর্যবেক্ষণ গ্রুপ জানায়, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান পালমাইরার কাছে আইএস জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এ ২৩ জনের মধ্যে নয়টি শিশু রয়েছে।

পর্যবেক্ষণ গ্রুপের প্রধান আব্দেল রাহমান বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জঙ্গিরা তাডমোরের উত্তরে আমিরিয়াহ গ্রামে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে নয়টি শিশু রয়েছে।’

আব্দেল রাহমান আরো জানান, নিহতদের মধ্যে সরকারি কর্মচারির পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। ব্রিটিশ ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, জঙ্গিরা পালমাইরার এক কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ইউনেস্কো প্রধান ইরিনা বোকোভা জানান, পর্যবেক্ষণ সংস্থার এমন খবরে এ বিশ্ব সংস্থা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।

লেবাননে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করা আমাদের দায়িত্ব যাতে তারা ২ হাজার বছরের পুরাতন এ মরুদ্যান রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।’ এদিকে সিরিয়ার পালমাইরায় সামরিক শক্তি আরো জোরদারে শুক্রবার সৈন্য পাঠানো হয়েছে।

আব্দেল রাহমান বলেন, ‘সামরিক বাহিনী আকাশ থেকে তাডমোরের আশেপাশে বোমা হামলা চালাচ্ছে। ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জঙ্গিরা বর্তমানে পালমাইরার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোর থেকে আইএসর সাথে সেখানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩ জন সৈন্য ও ৬৫ জন জিহাদি রয়েছে।

পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, সর্বশেষ এ হত্যাকান্ডের আগে সেখানে আইএস জঙ্গিরা কমপক্ষে আরো ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। সরকারকে সহযোগিতা করার অভিযোগে এদের মধ্যে ১০ জনকে শিরচ্ছেদ করা হয়।

মধ্যাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশের গভর্নর জানান, সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ প্রদেশেই পালমাইরা অবস্থিত। তালাল বারাজি বলেন, ‘সখানে সামরিক শক্তি জোরদারে আরো সৈন্য পাঠানো হয়েছে এবং তার আকাশ থেকে আইএস জঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ্যকরে বোমা হামলা চালাচ্ছে।’

এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।