মানাস দ্বীপের আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষতিপূরণ দেবে অস্ট্রেলিয়া
পাপুয়া নিউগিনির মানাস দ্বীপের বন্দিশিবিরে আটক আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য ৭ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করেছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, দ্বীপটিতে প্রায় দুই হাজার আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে। তাদের অভিযোগ, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই দ্বীপে বন্দি থাকাকালে তারা অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এমনকি এ বিষয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তারা।
ভুক্তভোগীদের এ অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে বিষয়টি সমাধানে ‘বিচক্ষণ’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার।
খবরে বলা হয়, বন্দিদের আটকে রাখার জন্য পাপুয়া নিউগিনির মানাস দ্বীপে অস্ট্রেলিয়া বন্দিশিবির তৈরি করে। নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা চালানোর সময় ধরা পড়াদের সেখানে আটকে রাখা হয়। এরপর এখান থেকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে অস্ট্রেলিয়ার কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের দাবি, কমনয়েলথ ও অস্ট্রেলীয় সরকারের নীতি অনুযায়ী বন্দিদের সঙ্গে আচরণ করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষের বর্বর আচরণের ফলে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকে আবার অসুস্থ হয়েও পড়ে আছেন।
তবে সরকারের যুক্তি, নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়া আসার চেষ্টার ক্ষেত্রে বন্দিশিবিরগুলো বাধা দেয়।
গত বুধবার মানাস বন্দিশিবির সংক্রান্ত মামলাটি ভিক্টোরিয়া সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। তবে এর আগেই দেশটির সরকার ও তাদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৭ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছে।
সুদানের আশ্রয়প্রার্থী আবদুল আজিজ মুহা্ম্মদ, যিনি এখন মানাস দ্বীপে বাস করছেন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ খবরে আমি সত্যিই সত্যিই খুশি হয়েছি।
‘আমি খুবই উত্তেজিত, মানাস দ্বীপে আসার পর কখনও আনন্দে এতটা উত্তেজিত হইনি।’
এমএমএ/পিআর