মৃত থেরেসা মে হাঁটছেন : জর্জ অসবর্ন


প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ১১ জুন ২০১৭

ব্রিটেনের আগাম নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান থেরেসা মে। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের পর ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট গড়ার চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি তিনি।

থেরেসা মে’র কো-চিফ অব স্টাফ নিক টিমোথি ও ফিওনা হিল নির্বাচনী ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টির বিপর্যয়ের পর শনিবার তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে থেরেসা মে তার অবস্থান জোরাল করতে ওই দুই উপদেষ্টাকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন তারা।

শনিবার রাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট ও ডিইউপি’র পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার গঠন করতে দুই দলের দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। তবে এর মাঝেই উদারপন্থী কনজারভেটিভদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে, ডানপন্থী নর্দার্ন আইরিশ পার্টির সঙ্গে থেরেসা মে জোট গড়ার ঝুঁকি নিতে পারেন।

এর আগে এক বিবৃতিতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে বলে জানায় ডাউনিং স্ট্রিট। ধর্মীয় অধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে ডিইউপির মতাদর্শের মিল রয়েছে। সমলিঙ্গের বিয়ে ও গর্ভপাতসহ সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে এই দলটি অত্যন্ত কট্টরপন্থা অবলম্বন করে।

গত বছর ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করা হয় ব্রিটিশ চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্নকে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অসবর্ন বলেন, ‘থেরেসা মে মৃত নারী; যিনি হাঁটছেন। তবে এখন দেখা যাক তিনি কতক্ষণ এই মৃত্যুর সারিতে হাঁটতে পারেন।’

বিবিসির সানডে পলিটিকস অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোরিস জনসন, সাবেক সাংবাদিক ও সাবেক একজন মেয়র নেতৃত্ব নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা আঁকছেন বলে উঠে এসেছে। তবে এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে লন্ডনের ইভিনিং স্টান্ডার্ড’র সম্পাদক অসবর্ন বলেছেন, ‘তিনি (থেরেসা মে) স্থায়ী নেতৃত্বের প্রচারে রয়েছেন। সুতরাং আমি নিশ্চিত নই যে, এটি সংবাদ হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আগাম নির্বাচনে ৩১৮ আসনে জয় পেয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসন দরকার। পর্যাপ্ত আসনে জয়ী না হওয়ায় এখন ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ার চেষ্টা করছে থেরেসা মে নেতৃত্বাধীন এই দল। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) ১০ আসনে জয় পেয়েছে। কনজারভেটিভ শিবির নতুন সরকার গঠন করতে এই দলটির সঙ্গে জোট বাঁধার চেষ্টা করছে। তবে জোট গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি ডিইউপি।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।