পদত্যাগের চাপে মে


প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ০৯ জুন ২০১৭

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পদত্যাগের চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তাকে পদত্যাগের আহ্বান করেছেন দেশটির লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। সাধারণ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এ ধরনের মন্তব্য করেন তিনি।

হঠাৎ করে সাধারণ নির্বাচন ডাকার আগে সংসদে কনজারভেটিভ পার্টির যত আসন ছিল এই নির্বাচনে আসন সংখ্যা তার চেয়েও কমেছে। এতে করে লজ্জায় পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে`কে।

হাউস অব কমন্সের ছয়শ ৫০ আসনের মধ্যে ঘোষিত ফল অনুযায়ী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে তিনশ ১৮টি আসন, লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি পেয়েছে ৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ১২টি, ডিইউপি ১০টি ও অন্যান্য দল পেয়েছে ১৩টি আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন তিনশ ২৬ টি আসন। লেবার পার্টির ঝুলিতে যোগ হয়েছে ২৯টি নতুন আসন এবং কনজারভেটিভ ১৩টি আসন হারিয়েছে।

উত্তর লন্ডনের ইসলিংটন নর্থ আসন থেকে পুর্ননির্বাচিত হবার পর জেরেমি করবিন ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মে কে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, থেরেসা সরে গিয়ে এমন একটা সরকারকে জায়গা করে দেওয়া যারা দেশের জনগণের সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে মে বলছেন, দেশে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন এবং তার দল সেই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

কনজারভেটিভ পার্টির এক মন্ত্রী বলছেন, এই ফলাফলের পর ক্ষমতায় থাকার জন্য থেরেসা মে`র জন্য কঠিন হবে না। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলকে তিনশ ২৬টি আসনে জিততে হবে। তবে তারা তিনশ ১৯টি আসন পাওয়ার পর এবং ডেমোক্রাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সমর্থন পেলে তারা সরকার গঠনের জন্য রানির অনুমতি পাবেন।

তবে পদত্যাগের কোনো চিন্তাভাবনা করছেন না মে। বরং সরকার গঠনের অনুমতি নিতে বাকিংহাম প্যালেসে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় সরকার গঠনের অনুমতি নিতে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেস তার যাওয়ার কথা আছে।

রানির অনুমতি মিললেও ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। অবশ্য ব্রিটেনের জন্য এটা নতুন নয়। ২০১০ সালে কনজারভেটিভ পার্টি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করেছিল। এর আগে ১৯৭৪ সালে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করে লেবার পার্টিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কনজারভেটিভরা। অবশ্য, ওই পার্লামেন্ট বেশি দিন টেকেনি। মাত্র আট মাসের মাথায় নতুন নির্বাচন করতে হয়েছিল।

সূত্র : বিবিসি।

কেএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।