সমুদ্রে দূষণ বন্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি এশীয় দেশগুলোর


প্রকাশিত: ০৬:১৪ এএম, ০৮ জুন ২০১৭

সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী প্রধান কয়েকটি দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা তাদের কর্মকাণ্ড পরিবর্তন করবে। জাতিসংঘের সমুদ্র সম্মেলনে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, তারা সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক দূরে রাখার জন্য কাজ করবেন। খবর বিবিসির।

কিছু কিছু প্রতিশ্রুতি এখনো আনুষ্ঠানিক রূপ পায়নি তাই পরিবেশবাদীরা বলছেন, এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এ প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন।

নিউ ইয়র্কের এক সম্মেলনে জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি সমুদ্র দূষণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থানের একটি স্পষ্ট নির্দেশক।

জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক পরিচালক, এরিক সলহাইম বলেছেন, উৎসাহী হওয়ার মত বেশ কিছু বিষয় এসেছে এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সমুদ্রকে অনেক বেশি গুরুত্বের দিচ্ছেন। যদিও আমাদের অনেক দূর যেতে হবে কারণ সমস্যাও অনেক বিশাল।

ধারণা করা হয়, প্রতিবছর ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রের পানিকে দূষিত করছে। এসব প্লাস্টিকের একটি বড় অংশ প্রবেশ করে মাছ এবং পাখির দেহে। এমনকি সমুদ্রের তলদেশেও প্রাণীর শরীরে প্লাস্টিকের টুকরো পাওয়া গেছে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব প্লাস্টিকের একটি বড় অংশ সমুদ্র থেকে অনেক দূরে তৈরি হয়। বিশেষ করে যেসব দেশে ভোক্তা অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হয়নি সেখানে এই সমস্যা প্রকট।

জার্মানির একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, বিশ্বের মাত্র ১০ টি নদীর মাধ্যমে ৭৫ শতাংশ স্থলে উৎপন্ন সমুদ্র দূষিত হয়েছে, এসব নদীর অধিকাংশই এশিয়ায়।

এসব নদীতে যদি প্লাস্টিকের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমানো যায় তবে সারাবিশ্বে প্লাস্টিক দূষণ ৩৭ শতাংশ কমবে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।