শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে টিউলিপ


প্রকাশিত: ০৫:০৫ এএম, ০৮ জুন ২০১৭

ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরেসা মে ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মধ্যেই আজ (৮ জুন) আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রিটেনে।

তুমুল আলোচিত ব্রেক্সিট ইস্যু, থেরেসা মে’র মেয়াদে তিন দফা বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ইস্যুসহ নানা কারণে ব্রিটেনের এই নির্বাচন পুরো ইউরোপ, এমনকি বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিসিবি বাংলার।

বিশ্বের অন্যতম পরাক্রম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেনের নির্বাচন বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এ নির্বাচনে লড়ছেন সদ্য ভেঙে যাওয়া পার্লামেন্টের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি বিরোধী লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি।

২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে জয়ী হন টিউলিপ। একই আসনে জেরেমি করবিনের দল থেকে এবারও লড়ছেন টিউলিপ। তবে এবার বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে তাকে।

প্রথমবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে নানা ইস্যুতে সর্বদাই সরব থেকেছেন টিউলিপ। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের নজর কেড়েছেন তরুণ এই রাজনীতিক।

টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে ভোটারদের মধ্যে উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের আধিক্য। তবে অনেক দরিদ্র মানুষও আছেন, আছেন প্রায় হাজারখানেক বাংলাদেশি ভোটার।

গত বছর ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটে এ অঞ্চলের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ বিপক্ষে ভোট দেয়, সে সময় টিউলিপও ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। এবারেও নির্বাচনে এ আসনে ব্রেক্সিট ইস্যু বেশ ‍গুরুত্বপূর্ণ।

গতবার টিউলিপ জিতেছেন মাত্র এক হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে। তবে এবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টির সেসব আসনে জয় পেতে মরিয়া, তার একটি টিউলিপের এ আসন। ফলে এখানে তুমুল লড়াই হবে এবার।

এছাড়া এ আসনে গতবারের তৃতীয় দল লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির ভোটাররাও বেশ সরব। তাদের প্রার্থী কার্সটি অ্যালান আশা করছেন, ব্রেক্সিটের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তাকে বড় সুবিধা দেবে।

ফলে টিউলিপকে এবার লড়তে হচ্ছে প্রবল দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে তার কপালে ভাজ ফেলছে অভিবাসনবিরোধী কট্টর ডানপন্থী দল ইউকিপ। দলটি এখানে গতবার পেয়েছে দেড় হাজার ভোট। তারা তাদের প্রার্থী না দেয়ায় এসব ভোট কনজারভেটিভদের বাক্সে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসব নানা কারণে প্রথমবার নির্বাচনেই জয়ী হয়ে আলোচনায় আসা টিউলিপকে এবার তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ‍মুখে পড়তে হচ্ছে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।

এটি ব্রিটেনের ৫৭তম সাধারণ নির্বাচন। তবে ১৯৭৪ সালের পর প্রথম আগাম নির্বাচন। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে হওয়ার কথা থাকলেও ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

আজ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। ফলে প্রকাশ হবে শুক্রবার।

এবার নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির মধ্যে। নির্বাচনে লড়ছেন ৩ হাজার ৩০৪ জন প্রার্থী।

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।