বন্দি নেতাদের নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ


প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ১৩ মে ২০১৫

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদসহ আটক নেতাকর্মীদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। বুধবার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি শমসের মোবিন চৌধুরী, বীর বিক্রম, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, অধ্যাপক এম এ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু ও মোসাদ্দেক আলী, বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, আসলাম চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের বহু নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। এরা অনেকেই জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী এবং নিজ নিজ অঙ্গনে খ্যাতিমান ব্যক্তি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশতঃ বিরোধীদলকে দমনের হীন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মিথ্যা ফৌজদারী মামলা এবং সরকারের আজ্ঞাবহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা সাজানো মোকদমায় দীর্ঘদিন ধরে এসব নেতাদের অনেককেই বিনা বিচারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আটকাবস্থায় বেআইনি ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে দফায় দফায় পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এই রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের অনেকে বয়সে প্রবীণ এবং নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত। কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে তারা অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তরের পর সম্প্রতি তিনি কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুর অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর অসুস্থ মির্জা আলমগীরকে সম্প্রতি তেমন কোনো চিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খন্দকার মোশাররফ অজ্ঞান হয়ে বাথরুমে পড়ে যাবার পরেও তার তেমন কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। এসব ঘটনা তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে আইনের প্রয়োগ, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছের বাহনে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চললে, দেশে আইনের শাসন ও সুবিচারের সুযোগ থাকলে এসব ঘটনা ঘটতে পারতো না। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার কেউ হলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা থাকতো। কিন্তু সেসব ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলার পথ খুবই সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিএনপিসহ বিরোধী দলমতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা সমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হোক।

এমএম/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।