বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু


প্রকাশিত: ০৪:৫৩ এএম, ০১ জুন ২০১৭

যে প্রশ্নের জবাবের জন্য এতদিনের অপেক্ষা অবশেষে তা সামনে এলো। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালে তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আচমকা এই ঘোষণায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কলকাতার বাসিন্দা সায়ক সেনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শাহনাওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জি ডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্টগুলি বিবেচনার পরে সরকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।’

নেতাজির পরিবারের সদস্য ও দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেতাজি গোপন নথি প্রকাশ করে মোদি সরকার। কিন্তু তখনও অন্তর্ধান রহস্যে পর্দা টানাই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মোদী সরকারের জবাব যেন সব কিছু ছাপিয়ে কয়েক যুগ ধরে চলা বিতর্কে জল ঢেলে দিতে চেয়েছে। আর বিতর্ক শুরু হতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘দেশের মানুষের সামনে যে সব তথ্য রাখা ছিল এবং বছর বছর ধরে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তার ভিত্তিতেই এই জবাব দেওয়া হয়েছে।’’

সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন, নেতাজির পরিবারের সদস্যদের একাংশ। ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজন বলেছেন, অন্তর্ধান রহস্য সর্বশেষ খতিয়ে দেখেছেন বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশন। কিন্তু ওই কমিশনই বলেছিল, ১৯৪৫ সালের ১৮ অাগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে তাইওয়ান সরকারের পাঠানো চিঠিও কমিশনের হাতে আসে। যেখানে বলা হয়েছিল, ওই বিশেষ দিনটিতে তো নয়ই, তার আগে বা পরের সাত দিনের মধ্যেও তাইহোকু বিমানবন্দরে কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফলে সরকার কী ভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছাল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।