মোরার আঘাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ব্যাপক’ ক্ষয়ক্ষতি


প্রকাশিত: ০৭:৫০ এএম, ৩০ মে ২০১৭

ঘূর্নিঝড় মোরার আঘাতে বাংলাদেশের মিয়ানমার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার আগে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পে আঘাত হেনেছে মোরা। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

সেন্ট মার্টিন এবং টেকনাফের প্রায় ২ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। চট্টগ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

উপকূল থেকে কয়েক মাইলের ব্যবধানেই মিয়ানমার সীমান্ত। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য নির্মিত শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছেন।

সামসুল আলম নামে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক নেতা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বালুখালি এবং কুতুপালয় ক্যাম্পের প্রায় ১০ হাজার কুড়েঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, ক্যাম্পের বেশিরভাগ অস্থায়ী ঘরই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

কুতাপালং ক্যাম্পের নেতা ওমার ফারুক জানিয়েছেন, ‘অবস্থা বেশ ভয়ানক। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে আছি।’

তবে চট্টগ্রামের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মোরা যতটা ভয়ংকর হওয়ার আশঙ্কা ছিল ততটা হয়নি। চট্টগ্রামের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার ধারণ করে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আঘাত হানে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।