সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী!
ভারতের সঙ্গে ৪১ বছরের অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আইনি জটিলতা দূর হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এটি আওয়ামী লীগের বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমি আজ সন্তুষ্ট।’ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর এমন অনুভূতির কথা জানা গেছে। সূত্র জানায়, নিয়মিত বৈঠকের প্রথমেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় সীমান্ত বিল পাস হওয়াকে বাংলাদেশের বিশাল কূটনৈতিক বিজয় বলে অভিহিত করেন। একইসঙ্গে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানানোর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ওই সদস্য জানান, ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় খালেদা জিয়া ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু, সরকারকে ধন্যবাদ জানাননি। একজন মন্ত্রী বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা তো আগে থেকেই এটাকে গোলামী চুক্তি বলত। এখন ধন্যবাদ দেয় কেন?’
বৈঠকে থাকা অপর এক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য জানান, সীমান্ত বিল এবং ইংল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি তথা প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নিসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়। একজন মন্ত্রী নির্বাচিত তিন নারীকে বাংলাদেশে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি তুললেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অবসরে ভিন্নরকম জীবন-যাপন করব বলে ভাবনা ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের থাকতে পেরে আমি খুব খুশি। মনে হচ্ছে ঠিক জায়গাতেই আছি। এ ছাড়া তোফায়েল আহমদ, আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ্য মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন এমন পর্যায়ে আছে যা কেউ চিন্তাও করতে পারে না। নেপাল-ভুটান অনেক বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথাই বলতে পারে না। অথচ বাংলাদেশ নিজেদের বিষয়ে দেন-দরবার তো করেই, উল্টো নেপাল-ভুটানসহ চার দেশের সঙ্গে যান চলাচল চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশই এগিয়ে নিয়েছে।
এসএ/বিএ/আরআইপি