‘মোরা’ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী


প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ২৯ মে ২০১৭

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার ধারণ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার ভারতীয় নৌ-বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় যদি বাংলাদেশের সহায়তার প্রয়োজন হয়; সেলক্ষ্যে নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চল বহরের জাহাজগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাতাসংস্থা এএনআই বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোরা। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলের দিকে সরে আসায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার পাশ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এছাড়াও এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই জেলার ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে চট্টগ্রামের চিকিৎসক, নার্সদের ছুটি।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।