সিগারেট নিয়ে বিরল পেইন্টিং


প্রকাশিত: ০৬:৪৪ এএম, ২৯ মে ২০১৭

ইংল্যান্ডে ২০১৬ সালের দিকে নটিংহাম শহরে ইমপেরিয়াল টোব্যাকোর বন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচতলা ভবনের দেয়ালে দেয়ালে সিগারেট নিয়ে পুরনো বিরল সব তৈলচিত্র ঝোলানো রয়েছে। এসব পেইন্টিং নিলামে তোলা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

এই ছবিগুলো একসময় ইমপেরিয়াল টোব্যাকোর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু মূল ছবিগুলো কখনো প্রদর্শিত হয়নি।

এসব ছবির অনেকগুলোতেই নারীদের আয়েস করে ধুমপান করতে দেখা গেছে। সেখানে এমন কিছু ছবিও আছে যেখানে শিশুরা সিগারেট নিয়ে খেলা করছে। বর্তমান সময়ে এমন সব ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়া তো দূরে থাক, আঁকার কথাও কোনো শিল্পী ভাবেনই না।

england

কিন্তু এসব ছবি ইমপেরিয়াল টোব্যাকো সেসময় হরহামেশাই বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। কারণ ১৯৫০য়ের দশকেরআগে ধুমপানের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল খুবই কম।

ব্রিটেনের ব্র্যান্ড, প্যাকেজিং এবং বিজ্ঞাপন বিষয়ক যাদুঘরের পরিচালক রবার্ট অপি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সিগারেটের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা ছিলনা।’

১৯২০ থেকে ৩০য়ের দশকে বড় বড় চলচ্চিত্র তারকারা পর্দায় সিগারেট খেতেন এবং তাদের দেখাদেখি নারী-পুরুষ তাদের মর্যাদা বাড়াতে ধুমপানে আকৃষ্ট হতো।

england

ঐ সময়টাতে সুন্দরী নারী থেকে শুরু করে খেলার জগতের তারকা, এমনকী শিশুদেরও সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হতো। কাস্টার্ড, টফি বা বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে যেমন ব্যবহার করা হতো সিগারেটের ক্ষেত্রেও তা হতো।

১৯৩০য়ের দশকে ইমপেরিয়াল টোব্যাকো দিনে ১০ লাখেরও বেশি সিগারেট বানাতো। প্রায় ৭ হাজার লোক তাদের কারখানায় কাজ করত। দশকের পর দশক ধরে নটিংহ্যাম শহরের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় জায়গা ছিলো  ইমপেরিয়াল টোব্যাকো। তবে সিগারেট নিয়ে বিরল এসব ছবির দাম কত উঠতে পারে তা জানানো হয়নি।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।