১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তি সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের


প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ২০ মে ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে পৌঁছে প্রায় ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্রচুক্তিতে পৌঁছেছেন। শিগগিরই বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে এই চুক্তির। তবে আগামী ১০ বছরে এ দুই দেশের মাঝে আরো ৩৫০ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র চুক্তি সাক্ষর হবে।

হোয়াইট হাউস এই অস্ত্রচুক্তিকে দুই দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কের ‘তাৎপর্যপূর্ণ সম্প্রসারণ’ বলে উল্লেখ করেছে। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা চাহিদার সমর্থনে ভবিষ্যতেও এ ধরনের চুক্তি হতে পারে।

চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে ১৫০টি লকহিড মার্টিন ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার ক্রয় করবে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এনবিসি নিউজকে বলেন, অস্ত্র ক্রয়ের এই প্যাকেজ; যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব ও আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বমূলক প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে। এর ফলে এই অঞ্চলে মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাজের সুযোগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্পে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, সৌদি সফরে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্ঠা ও জামাতা জারেড কুশনার দুই দেশের মাঝে অস্ত্রচুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন। এতে লকহিড মার্টিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মারিলিন হিউসকে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেমের দাম কমিয়ে আনা যায় কিনা সেবিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেন কুশনার। ট্রাম্প জামাতার এই আহ্বান বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছেন লকহিডের সিইও।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি বাদাশাহ সালমান মার্কিন এ প্রেসিডেন্টকে লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেন।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।