রাসিক মেয়র বুলবুল সাময়িক বরখাস্ত
নাশকতার মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে থাকা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিকেলের মধ্যেই সিটি র্কপোরেশনে পৌঁছতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাসিকের একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকারের আইনে (সিটি কর্পোরেশন) যেকোন মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করলে তাকে সাময়িক অপসারণের বিধান রয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ধারা ১২-তে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাময়িক বরখাস্তকরণের বিষয়টি এতে উল্লেখ করা হয়েছে। নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় রাজশাহী সিটি মেয়র পলাতক রয়েছেন।
রাজশাহীতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে নাশকতা, সহিংসতা, জানমাল ও সম্পদ বিনষ্টে ভয়াবহতা এবং বিস্ফোরক আইনে মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে রাজশাহী মডেল থানায় কয়েকটি মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চারটি মামলার চার্জশিট আদালত গ্রহণ করেন। সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন। এতে মেয়র বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্তের কথা বলা হয়েছিল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সহিংসতাসহ বিভিন্ন ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এগুলো হলো, মামলা নং ৩৮, এটি ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দায়ের করা হয়। ধারা ১৪৭/১৪৮/১৪৮/১৮৬সহ আরও কিছু ধারা। গত ২৫ মার্চ আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলা নং-৩৭, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দায়ের করা হয়।
১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৩ ধারায় মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টম্বর এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। মামলা নং-৪১, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়। ধারা ১৪৩/১৫৩/৩৩২/৪২৭/৩৪ দঃবিঃ। এই মামলায় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলা নং-০৮, এটি ২০১১ সালের ৪ দায়ের করা হয়। ধারা, ১৪৩/১৫২/১৫৩ সহ আরো ধারা রয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ মার্চ আদলত চার্জশিট গ্রহণ করেন।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি মেয়র বুলবুলের বরখাস্তের আদেশ চেয়ে পুলিশ সদর দফতরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলো রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।
শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/আরআই