জাপানে শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বাংলাদেশিদের অনশন


প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১৩ মে ২০১৭

জাপানের অভিবাসন অাশ্রয় কেন্দ্রে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের আরো অন্তত ২০জন নাগরিক আমরণ অনশন শুরু করেছেন। অভিবাসন আশ্রয়কেন্দ্রে উন্নত চিকিৎসাসেবার দাবিতে তারা ওই অনশন শুরু করেছেন বলে বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

টোকিও’র এক কর্মকর্তা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও অভিবাসীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গত কয়েকবছর ধরে টোকিওর অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে শর্ত সাপেক্ষে কিছু অভিবাসন কর্মকর্তা কঠোর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠিক কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি।

টোকিও আঞ্চলিক অভিবাসন ব্যুরোর মুখপাত্র অ্যাসুসি সাকাই বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, অভিবাসন কেন্দ্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে খাদ্য প্রত্যাখ্যান শুরু করেছেন বন্দীরা এবং এটি এখনও অব্যাহত রয়েছে।

তবে বন্দীরা কেন খাবার প্রত্যাখ্যান করছেন তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন সাতো। তিনি বলেন, বন্দীরা কোন কোন দেশের তা জানতে অভিবাসন ব্যুরো এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

টোকিওর এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করি যে, তারা আশ্রয়কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবার ব্যাপারে অনশন করছে। তবে জাপানে এ ধরনের প্রতিবাদ বিরল। প্রভিশনাল রিলিজ এসোসিয়েশন নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা এক ব্লগে লিখেছে, চীন, মায়ানমার, বাংলাদেশসহ অন্তত ১২টি দেশের অভিবাসীরা এ অনশন করেছেন। বন্দীদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।

সাকাই বলেন, অভিবাসন কেন্দ্রে বর্তমানে প্রায় ৫৮০ জন বন্দী রয়েছেন। তবে দেশটিতে আশ্রয়প্রার্থীরা এই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি জাপানের অভিবাসন ব্যুরো। কিন্তু টোকিও ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা জাপান এসোসিয়েশন ফর রিফিউজি বলছে, অভিবাসন কেন্দ্রে শরণার্থী স্বীকৃতির আবেদনকারী বন্দীও রয়েছেন।

বিশ্বের ধনাঢ্য দেশগুলোর একটি জাপান। গত বছর ২৬ জন শরণার্থীর আবেদন মঞ্জুর করেছে দেশটি; যা তার আগের বছরের চেয়ে একজন বেশি। গত বছর দেশটির অভিবাসন ব্যুরোতে ৮ হাজার ১৯৩ জন শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় জানিয়ে আবেদন করে। তবে এদের অধিকাংশই এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বলে টোকিওর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।