পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া লাদেনের ছেলে


প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১৩ মে ২০১৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নিহত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে তার পিতার খুনে মতাদর্শ বজায় রাখতে চান। ওই অভিযানে উদ্ধারকৃত ব্যক্তিগত এক চিঠির বরাত দিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এফবিআই’র সাবেক এক অ্যাজেন্ট এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

বর্তমানে লাদেনের এই ছেলে আল-কায়েদার বৃহৎ একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং পিতার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান তিনি। লেবানি বংশোদ্ভূত এফবিআইয়ের সাবেক মার্কিন অ্যাজেন্ট আলি সোফান ৯/১১ হামলার তদন্তকারী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন; গোয়েন্দা নথি বিশ্লেষণের পর তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

লাদেনের ছেলে হামজার ওই চিঠি অভিযানের সময় সংগ্রহের পর বর্তমানে সংরক্ষিত আছে। সোফান বলেন, চিঠিতে হামজা বলেছেন, ‘তার (লাদেনের) চেহারা মনে রাখবেন... আপনার (লাদেনের) প্রত্যেকটি হাসি...প্রত্যেকটি শব্দ মনে রাখবো।’

ওসামা বিন লাদেনের এই ছেলের বয়স বর্তমানে ২৮ বছর। ২২ বছর বয়সের সময় ওই চিঠি লিখেছিলেন; যখন দীর্ঘদিন ধরে তারা বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো না। হামজা লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ইস্পাতের মতো মনে করি। ঈশ্বরের জন্যই আমরা জিহাদের রাস্তায় বেঁচে আছি।’

সোফান বলেন, কয়েক বছর আগের ছোট হামজা এখন আল-কায়েদার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অনেক সময় তাকে আল-কায়েদার প্রোপাগান্ডা ভিডিওতে বন্দুক হাতে দেখা যায়। আল-কায়েদার সদস্যদের জন্য পোস্টার বালক ছিলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামজাকে বিশেষ বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্তি করেছে; যা তার বাবার ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল। তার বার্তাগুলোর বাবার মতোই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বার্তায় তার বাবার মতো শব্দ ও মতাদর্শ উল্লেখ করে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।

গত দুই বছরে হামজা অন্তত চারটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। সোফানের বিশ্বাস, জিহাদী আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে পারে হামজা।

তিনি বলছেন, ‘মার্কিন জনগণ আমরা আসছি এবং আপনারা শিগগিরই তা বুঝতে পাবেন। ইরাক, আফগানিস্তান ও আমার বাবার ক্ষেত্রে আপনারা যা করেছেন আমরা তার প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছি।’ সোফান বলেন, এখন আল-কায়েদা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

সূত্র : সিবিএসনিউজ।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।