ক্লিপটন সৈকত-ই দিয়েছে করাচির রূপ


প্রকাশিত: ১১:০১ পিএম, ১২ মে ২০১৭
ছবি : জাগো নিউজ

করাচিতে এখন সূর্য একেবারেই মাথার কাছে। এখানে সূর্যের তেজ সকালেই উৎরে উঠে। উত্তাপ কমে না বিকেলেও। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোটা পার হচ্ছে নিত্যদিন। বৃষ্টি কবে হয়েছে, তা সঠিক মনে করতে পারছে না নগরবাসী। পিচঢালা সড়কগুলো তাপ দিয়ে দিয়ে মরিচিকা ছড়াচ্ছে দিনভর। ভেজা নয় বলে মাটির কোনো গন্ধও মেলে না এখানে।

গরমের এত আয়োজন, তবুও অস্বস্তি নেই জনমনে। থাকবেই বা কেন? এত কাছে সাগর থাকলে গরম কি আর সুখ কেড়ে নিতে পারে!
Paki
সাগরের হাওয়ায় গরম উবে যায় করাচিতে। এখানে যেন সমুদ্র হাওয়ার-ই জয়ধ্বনি। করাচিতে কাঠফাঁটা রোদেও প্রাণ জুড়ায় সমুদ্রের শীতল হাওয়ায়।
করাচি শহরের আল হারামাইন হোটেল থেকে গাড়িতে করে মিনিট পাঁচেক গেলেই তিন তলোয়ার পয়েন্ট। জুলফিকার আলী ভুট্টোর দেয়া নাম এটি।

ভালো করে কান পাতলে তিন তলোয়ার পয়েন্ট থেকেই সাগরের ডাক শোনা যায়। এই পয়েন্ট থেকেই সাগরের হাতছানি মিলতে থাকে। মানে আর মিনেট পাঁচেক গেলেই সাগর পাড়।

করাচি ক্লিপটন বিচ। ছোট্ট অথচ একেবারেই পরিপাটি। শুক্রবার বিকেল বেলা। সাগর তীরে যেন মানুষের হাট বসেছিল। বিদেশি পর্যটকের দেখা তেমন না মিললেও পাকিস্তানিরাই সাগরের সঙ্গে মিতালি করতে এসেছেন এখানে।Pakiinner

দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকত ঘুরতে আসা হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত সাগড় পাড়। মানুষ এসেছেন, তাই ঢেউয়েরাও আচড়ে পড়ছে সাগর তীরে! যেন পর্যটকদের স্বাগত জানাতেই  ছন্দে ছন্দে ঢেউয়ে এই হাসির খেলা। আরব সাগরের উত্তাল কি রূপ, তার-ই যেন প্রমাণ মেলে করাচি শহর ঘেঁষা এই সৈকতে।

inner

সৈকত গিয়ে পা ভেজানো, ছবি তোলা, ঢেউয়ের গায়ে গা ভাসিয়ে সমুদ্র স্নান  করতেও ভুলে না পর্যটকেরা। খেলা চলে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সঙ্গেও। আর এমন খেলার সাজ না ভাঙতেই নেমে আসে সন্ধ্যার ঘনঘটা। বিশাল সমুদ্র বক্ষে মিলে যায় অসীম আকাশ। সাগর আর আকাশ কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায় সূর্যও।

তবে সূর্য ঘুমিয়ে পড়লেও করাচি সৈকতের পাহারায় জেগে ওঠে চাঁদের আলো। ভর পূর্ণিমা এখন করাচির আকাশে। আর পূর্ণিমার আলো যেন সৈকতে জলরাশিতে রূপা ফলাচ্ছে!

Pakiinner1সৈকতের পাশেই করাচি সমুদ্রবন্দর। এর খানিকটা দূরে নির্মিত হচ্ছে করাচির গভীর সমুদ্রবন্দর। চাঁদের আলোয় সঙ্গ দিয়ে বন্দরের বৈদ্যুতিক বাতিগুলোও সৈকতের রূপ বাড়ায়।  

করাচি সৈকত দেখতে লাহোর থেকে এসেছেন সুলতান আহমাদ। সঙ্গে আরো তিন বন্ধু। বললেন, ‘আগে আরো দু’বার এসেছি। সাগরের প্রেমে পড়েই এখানে আসা। এবারে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি। পাশেই হোটেলে উঠেছি। মধ্যরাত পর্যন্ত থাকব। চাঁদের আলোয় সাগর দেখব।’

এএসএস/এমএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।