বিশ্বের প্রথম বায়োনিক কিডনি


প্রকাশিত: ০৭:৫৮ এএম, ১২ মে ২০১৭

১৯৮৭ সালের সাড়া জাগানো অ্যাকশনধর্মী সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র রোবোকপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। না থাকলেও সমস্যা নেই; অ্যালেক্স প্রোয়াস পরিচালিত ২০১৪ সালে নির্মিত আই রোবট দেখলেও চলবে।

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রটি দেখে থাকলে বায়োনিক ম্যান সম্পর্কে ধারণা থাকার কথা। চলচ্চিত্র দু’টিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে অঙ্গহানির সীমাবদ্ধতা জয় করেন। এর মধ্যে রোবোকপ তার প্রায় সারা শরীর এবং উইল স্মিথ (ডিটেকটিভ স্পুনার) তার ক্ষতিগ্রস্ত বাম হাত এবং ফুসফুস বায়োনিক অঙ্গ দ্বারা প্রতিস্থাপন করান। তখন পর্যন্ত এগুলো শুধুমাত্র কল্প বিজ্ঞানেই সম্ভব ছিল।

কিন্তু সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী সেই কল্পকাহিনীকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তারা আবিষ্কার করেছেন বায়োনিক কিডনি। যে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ কিডনির স্থলে প্রতিস্থাপন করা যাবে।

অন্যান্য অপারেশনের মতো করেই এই বায়োনিক কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব। এর কার্যকারিতাও সাধারণ কিডনির মতোই। রক্ত চলাচলও হবে ওই কিডনির মধ্য দিয়েই। ইতোমধ্যেই এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষায় সফল হয়েছেন গবেষকরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণা দলের সদস্য শুভ রায় এবং ভান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক উইলিয়াম এইচ. ফিসেলের প্রত্যাশা এই বায়োনিক কিডনি কয়েক মিলিয়ন রোগীর জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে।

অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকার পরও অনেকের পক্ষে কিডনি জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে সেই রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা চিকিৎসকদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

বায়োনিক কিডনি তাদের বাঁচিয়ে রাখবে। সেই সঙ্গে রক্তমাংসের মানুষের সঙ্গে ঘটবে চলচ্চিত্রের রোবোকপ আর উইল স্মিথের মতো বায়োনিক অঙ্গ জোড়া লাগানোর ঘটনাও।

কেএ/টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।