জিনপিং-মুন ফোনালাপে থাড নিয়ে আপত্তি
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর মুন জে ইন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ওই আলাপে থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর সেগুলোর প্রতিরোধক হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে এটি মোতায়েন করা হয়েছে।
চীনের দাবি, থাডের কারণে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মঙ্গলবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুন জে ইন শপথ নিয়েছেন বুধবার। দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখে সকলের সহযোগিতায় উত্তর কোরিয়া ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান করাই এখন তার সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহ্যাপ জে ইনের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানায়, চীনা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেই ফোনালাপের উদ্যোগ আসে। ওই ফোনালাপে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা থাড-এর জোরালোভাবে বিরোধিতা করেন শি জিনপিং।
প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র ইয়ুন ইয়াং চান জানান, উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটালে থাড ইস্যুর সমাধান হবে। উত্তর কোরিয়া ও থাড নিয়ে আলোচনার জন্য চীনে প্রতিনিধিদল পাঠাবেন বলেও জানান প্রেসিডেন্ট মুন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাড মোতায়েনের বিষয়ে একমত হয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হে। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে এখন কারাগারে আছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি ঠেকাবে থাড। অন্যদিকে চীনের অভিযোগ, থাডের কারণে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
যদিও থাড নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টের অবস্থান পরিষ্কার নয়। নির্বাচনের আগে তার এক মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট এবারে তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। তাছাড়া উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো বন্ধের ব্যাপারেও তারা একমত পোষণ করেছেন।
কেএ/এনএফ/এমএস