অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম তৈরিতে শিশু স্বাস্থ্য হুমকির মুখে
প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে একটু স্বস্তি পেতে ছোট বড় সকলেই খাচ্ছেন আইসক্রিম। এ অস্বস্তিকর গরমকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করছেন আইসক্রিম। কিন্তু আইসক্রিম কোন পরিবেশে কী কী উপদান দিয়ে তৈরি হয় তা জানা নেই কারো। এতে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশী।
ডাক্তার বলছেন এতে শিশুদের কিডনি আক্রান্ত এবং ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএসটিআইর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫টি উপাদান দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করার কথা থাকলেও তা মানছেন না আইসক্রিম তৈরি করার কারখানা মালিকরা। উপাদানসমূহ হলো, গভীর নলকূপের পানি, গরুর দুধ, চিনি, হরলিক্স, মালটন কন, মালটন আইস, মালটন কাস্টার, সুজি, অ্যারারুট বার্লি, ঘণ চিনি, লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, এইচবি থ্রি, গ্লুকোজ।
মালিকরা শুধুমাত্র ব্যবহার করছেন কনডেন্স মিল্ক, চিনি/স্যাকারিন, সুজি, অ্যারারুট ও ক্ষতিকার পদার্থ রং। ঝালকাঠির কোয়ালিটি, টেস্টি সুপার ও ঈগলু আইসক্রিম তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে বরিশালের নামি-দামি কোম্পানির লেভেল ব্যবহার করছেন তাদের তৈরি আইসক্রিম কারখানায়।
টেস্টি সুপার আইসবার ফ্যক্টরির মালিক মো. আকবর খন্দকার জাগো নিউজকে জানান, আমাদের এটি মৌসুমী ব্যবসা। ছোটবেলা থেকে এ ব্যবসায় জড়িত থাকায় ছাড়তে পারছিনা। নিজেদের কারখানার জন্য বিশেষ করে লেভেল ছাপানো হয় না। আমরা হাজার হিসেবে লেভেল কিনে আনি।
ঝালকাঠি পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আ. সালাম সিকদার জাগো নিউজকে জানান, আমাদের দায়িত্ব হলো পরিবেশ মনিটরিং করা। কেমিক্যাল ও উপাদান মনিটরিং করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের। ২/১ দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শনে মনিটরিং করা হবে।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. আ. রহিম জাগো নিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে পানির পিপাসা বেড়ে যাওয়ায় আইসক্রিমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু আইসক্রিমে রং ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করায় স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের শরীরে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এতে শিশুদের কিডনি আক্রান্ত এবং ক্যান্সার হতে পারে। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
ঝালকাঠির নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বুলবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে আলাপ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমজেড/আরআই