নৌকায় ইউরোপগামীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি


প্রকাশিত: ০৮:২৩ এএম, ০৬ মে ২০১৭

নৌকায় করে ইউরোপগামী শরণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশি শরণার্থীদের এ সংখ্যা সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইরাককেও ছাড়িয়ে গেছে।

গত বছরের প্রথম তিন মাসে ইতালিতে অবৈধভাবে পাড়ি জমানো শরণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন মাত্র একজন। তবে চলতি বছরে তা বেড়ে দুই হাজার আটশ’ জনে পৌঁছেছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে এই শরণার্থীরা। পরে ভূমধ্যসাগরে নৌকা লিবিয়া হয়ে ইতালিতে প্রবেশ করছে তারা।

ইউরোপে অবৈধভাবে পাড়ি জমানো বাংলাদেশিদের এই সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে রোহিঙ্গারাও একটি বড় কারণ বলে ধারণা আইএমও’র কর্মকর্তাদের।

শরণার্থীদের ঢল সামলাতে কয়েক বছর আগে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তির পর ইজিয়ান সাগর হয়ে অনুপ্রবেশ কমে গেলে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালিগামীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় মানবপাচারকারীরাও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ইতালিতে প্রবেশের অবৈধ পথটি বিপদসঙ্কুল এবং সেখানে নৌকাডুবিসহ নানা কারণে চলতি বছরই প্রায় এগারো শ’ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইতালিতে যেতে নৌকায় ওঠার আগে বাংলাদেশ থেকে দুবাই কিংবা তুরস্ক হয়ে লিবিয়ার মাটিতে নামে বিমানযোগে।

ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে উদ্ধার কয়েকজন বাংলাদেশি দাতব্য সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীদের জানিয়েছেন, ইতালিতে যেতে নৌকায় ওঠার আগে বাংলাদেশ থেকে দুবাই কিংবা তুরস্ক হয়ে লিবিয়ায় বিমানে করে যেতে ১০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ পাচারকারীদের দিতে হয়েছে। এরপর নৌপথের জন্য আরও সাতশ ডলার দিতে হয় তাদের।

দুবাই থেকে ত্রিপলির কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। দুবাই থেকে তিউনিসিয়া হয়ে আসতে হয় বলে জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের লিবিয়া বিষয়ক গবেষক হানান সালেহ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি রয়াল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের গবেষক গ্যারেথ প্রাইস বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও বাংলাদেশ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

কেএ/এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।