মোদিকে বাংলাদেশি যৌনকর্মীর টুইট


প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ০৩ মে ২০১৭

চাকরির আশায় ভারতে গিয়ে প্রতারিত হওয়া বাংলাদেশি নারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

চিঠিতে ওই নারী উল্লেখ করেন, ১০ হাজার রুপি সমপরিমাণের বাতিল নোট রয়েছে তার কাছে। ওই অর্থ তিনি যৌনকর্মের মাধ্যমে আয় করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি বাতিল নোটগুলো বদলে নতুন নোট দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। নোটগুলো যৌনপল্লীর মালিকদের কাছে ছিল বলে সেসময় পরিবর্তন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই নারী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে ভারতে আসেন তিনি। পাচার হওয়ার আগে তিনি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। নয় হাজার টাকা মাসিক বেতনও পেতেন। সেই অল্প বেতনে বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। এরকম সঙ্কটের মুহূর্তে এক সহকর্মী তাকে ১৫ হাজার টাকায় ভারতে কাজ করার কথা বলে পাচার করে দেয়।

ভারতে পাচার হওয়ার পর তাকে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা হয়। তবে সম্প্রতি মুক্তি পান তিনি। বাংলাদেশ সরকারও তাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। দেশে ফেরার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে ওই পোস্ট করেছেন তিনি।

ভারতে নিজের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ওই নারী জানান, আমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমি রাজি হই। এরপর আমাকে ভাসি নদী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে এক নেপালি নারীর কাছে আমাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।

ওই নারী আরও জানান, এরপর ব্যাঙ্গালুরু শহরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা হয়।

প্রায় দেড় বছর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একটি উদ্ধারকারী সংগঠন মুক্ত করে ওই বাংলাদেশি নারীকে। কিন্তু তার সব জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা থেকে যায় ওই যৌনপল্লীতে।

কেএ/টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।