পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে মার্কিন বোমারু বিমান
কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন বোমারু বিমানের কারণে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বোমারু বিমান সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার পর এমন মন্তব্য করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন পাসের পর প্রথমবারের মতো নিজেদের জলসীমায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে জাপান। মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজ।
কোরীয় দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে দু’টি সুপারসনিক বি-১বি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়াকে আরো বেশি চাপ প্রয়োগে এবং দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আনার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুন সাং জিউন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার উস্কানির কারণেই সোমবার যৌথ মহড়া হয়েছে।
মার্কিন বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুয়াম থেকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল মার্কিন বোমারু বিমান দু’টি।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে ওই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার বার বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিন মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, কিমের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারলে তিনি নিজেকে সম্মানিত মনে করবেন।
সোমবার সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, কিমের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ থাকলে আমি অবশ্যই তা করব। এমনটা করতে পারলে নিজেকে খুব সম্মানিত মনে হবে।
তবে নাগাদ ট্রাম্প কিমের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সাক্ষাতের আগে উত্তর কোরিয়াকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সিন স্পাইসার বলেছেন, ওয়াশিংটন চায় উত্তর কোরিয়া খুব শিগগিরই উত্তেজনাকর কর্মকাণ্ড পরিহার করুক।
গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে।
এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’। মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, থাডের মাধ্যমে এখন উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হবে এবং এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করবে।
টিটিএন/জেআইএম