বৌদ্ধ পূর্ণিমা রোববার
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব গৌতম বৌদ্ধের জন্মোৎসব শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা রোববার। গৌতম বৌদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বৌদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, ২ হাজার ৫৫৮ বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বৌদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেয়া হয় ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’।
এদিকে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের এ প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সবুজবাগ বৌদ্ধবিহারের অফিস সেক্রেটারী বিদর্শন বড়ূয়া জানান, রোবাবর সকাল সাড়ে সাতটায় ধর্মরাজী বৌদ্ধবিহার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে স্বধর্মসভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি থাকবেন সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়া।
তিনি আরো জানান, বিকাল ৫টায় সবুজবাগ বৌদ্ধবিহার মিলনায়তনে ‘বৌদ্ধ ধর্ম ও বিশ্ব শান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্তা।
বিদর্শন বড়ূয়া জানান, এ ছাড়া বুুদ্ধ পূজা, মহাসংঘদান, মহা অষ্টপরিস্কারদানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাদি পালিত হবে। এর মধ্যে জগতের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, গৌতম বৌদ্ধ বিশ্বের মানুষের দুঃখ-বেদনাকে নিজের দুঃখ বলে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন। মানব জীবনের দুঃখ তার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সম্পদ, ঐশ্বর্য তথা সংসার জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন এবং জন্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু-এ চারটির কারণ উদঘাটন এবং মানুষের শান্তি ও মুক্তির লক্ষ্যে নিমগ্ন হন।
এক সময় রাজপ্রাসাদের বিত্ত-বৈভব, সুখ ও স্বজনের মায়া ত্যাগ করে সিদ্ধি লাভের পন্থা অন্বেষণে তিনি বেরিয়ে পড়েন অজানার পথে। দীর্ঘ সময় সাধনার পর গৌতম বোধিপ্রাপ্ত হন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন।
এছাড়া বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৌদ্ধ ‘সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরএস/আরআইপি