ভগবানের ইচ্ছায় মেয়েদের সম্ভ্রম লুট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ০২ মে ২০১৫

গত বুধবার রাতে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে ভারতের পাঞ্জাবের মোগায় বাস থেকে ঝাঁপ দেন ১৪ বছরের এক কিশোরী। বলা ভালো তাকে এবং তার মাকে বাস থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর মারা যায় ওই কিশোরী। সারা ভারতে নিন্দায় মুখর এরকম ঘৃণ্য ঘটনার। ফের পাঞ্জাবের মোগা, এবার এক মহিলাকে গণধর্ষণ অথচ পাঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী সুরজিৎ সিং রাখড়ার কাছে এসবই `ভগবানের ইচ্ছে, ভগবানের উপরে কেউ নয়`।

তিনি পাঞ্জাবের মোগায় কিশোরীর নিহতের ঘটনার এমনই মন্তব্য করেছেন। তার দলের আর এক বিধায়ক যিনি আবার মোগা এলাকা থেকেই নির্বাচিত আরও একধাপ উঠে বলেছেন, `আজকাল বহু দুর্ঘটনা ঘটে। আদালতের বাইরেও অনেক কিছুর নিষ্পত্তি হয় যা দু`পক্ষই মেনে নেয়`, স্পষ্টতই অপমানকর মন্তব্য ভেসে এসেছে এই বিধায়কের দিক থেকে।

মেয়েদের সম্ভ্রম লুঠের ঘটনা `ভগবানের ইচ্ছে`, মন্তব্য অকালি বিধায়কের ঘটনা হলো সেদিনের ঘটনার পর থেকে পাঞ্জাবে ক্ষমতাসীন শিরোমনি অকালি দল বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। দলের বিধায়ক তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদলের সংস্থা `অরবিট অ্যাভিয়েশন`-এর বাসেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কিশোরীর পিতা উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে এখনো মেয়ের দেহ সৎকার করেননি। এমনকী সরকারের দেওয়া ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ও চাকরির প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন বাড়ির লোকেরা।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে পাঞ্জাবের মোগা-ভাটিন্ডা সড়কের ওপর দিয়ে একটি শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত বাসে করে যাচ্ছিলেন বছর ৩৫-এর শিনদর কৌর ও তার ১৪ বছরের মেয়ে আরশদীপ কৌর। সঙ্গে ছিল ওই মহিলার কিশোর ছেলে আকাশদীপ কৌর। অভিযোগ, বাসের মধ্যেই কয়েকজন যুবক তাদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন।

চালক ও কন্ডাক্টরের কাছে তারা বিষয়টির বিহিত চাইলে, তারা গুরুত্ব দেননি। উল্টে তারাও ওই যুবকদের সঙ্গে মিলে কটূক্তি করতে থাকেন। আরও অভিযোগ, চালককে বাস থামাতে বললে সে গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিজেদের সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেয় মা ও মেয়ে। এর মধ্যে মা বেঁচে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তবে মেয়ে আর বেঁচে নেই।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।