স্যুট পরে উড়লেন ব্রিটিশ উদ্ভাবক


প্রকাশিত: ০৭:৫০ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

কানাডার ভ্যানকুভারে টেড সম্মেলনে উড়তে সক্ষম একটি স্যুট পড়ে উড়ে দেখালেন এক ব্রিটিশ উদ্ভাবক। অনেক রিচার্ড ব্রাউনিং নামের ওই উদ্ভাবক যখন উড়ছিলেন তখন সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। সবাই খুব অবাক দৃষ্টিতে রিচার্ডকে দেখছিলেন।

যুক্তরাজ্যে উড়ুক্কু স্যুটের একটি ভিডিও পোস্ট করার পর থেকে এ নিয়ে অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে রিচার্ড বারবার বলেছেন, তার এই প্রকল্পটি মজার জন্য এবং মূলধারার পরিবহণ হিসেবে এটি ব্যবহার হবে বলে তিনি মনে করেন না।

রিচার্ড ব্রাউনিং বলেন, তার বাবার কাছ থেকেই তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তার বাবাও ছিলেন একজন উদ্ভাবক এবং অ্যারোনটিকাল প্রকৌশলী। ব্রাউনিং যখন কিশোর তখন তার বাবা আত্মহত্যা করেন।

ব্রাউনিং সবসময়ই নতুন কিছু তৈরি করতে এবং চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যে কারণে কোন পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে সেটাতে চড়ার ইচ্ছা করবেন, ঠিক সেই কারণেই আমি এই কাজটি করেছি, অর্থাৎ এটা পথচলা এবং চ্যালেঞ্জ নেবার জন্য।’

তিনি বলেন, মানুষের ওড়ার চিন্তা তাকে সবসময়ই আকর্ষণ করে। ছোট ছয়টি জেট ইঞ্জিন এবং বিশেষভাবে তৈরি সারা শরীরে পরিধাণযোগ্য একটি কাঠামোর সাহায্যে উড়তে সক্ষম যন্ত্রটি তৈরি করেছেন তিনি।

british

হেলমেটের সামনে একটি ডিসপ্লে আছে, যেখানে কতটুকু জ্বালানী খরচ হয়েছে তা দেখানো হয়। গ্রীক কিংবদন্তীর সুদক্ষ কারিগর এবং শিল্পী ডেডালুসের নামে ব্রাউনিংয়ের ৮ বছর বয়সী ছেলে এই যন্ত্রটির নাম রেখেছে ডেডালুস স্যুট।

ব্রাউনিং বলেন, কয়েক হাজার ফুট ওপর দিয়ে খুব সহজেই ঘণ্টায় ২শ মাইল গতিতে চলতে পারে এই যন্ত্র। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি খুব বেশি উচ্চতায় যান না এবং গতিও কম রাখেন।

তার মতে এই যন্ত্র মোটরবাইকের চেয়েও নিরাপদ। বর্তমানে স্যুটটি বিরতি ছাড়া টানা ১০ মিনিট উড়তে পারে।

ইউটিউবে ব্রাউনিংয়ের প্রথম উড্ডয়নের ভিডিও পোস্ট করার পর অনেক বিনিয়োগকারী এবং যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীও তার এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে খুব দ্রুত তার এই প্রকল্প মূলধারায় চলে যাবে বলে তিনি মনে করেন না।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।