শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যা করতে বললেন শিক্ষিকা!
যুক্তরাষ্ট্রে এক ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা ওয়াশিংটনের লুইজিয়ানার এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষিকা।
গত ৬-৭ মাস ধরে দুই শিক্ষিকা ১১ বছরের এক শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সহপাঠীদেরও তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু সহপাঠীরা এমনটা করতে অস্বীকার করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন শিক্ষিকারা।
গত বছরের অক্টোবরে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ক্লাসে পড়াতে গিয়ে অ্যান সেলভিন নামে এক শিক্ষিকা ওই ছাত্রীকে সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়া করতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সে। উপরন্তু স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে শিক্ষিকার নামে অভিযোগ জানায় সে।
এতে ভীষন রেগে যান ওই শিক্ষিকা। পরে তিনি ওই ছাত্রীকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করতে বলেন। এমনকী ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন যে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবেন।
বিষয়টি বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। এ বছরের শুরুতে বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান তারা। সেলভিন নামের ওই শিক্ষিকাকে ডেকে হুশিয়ার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষিকার বদলে অন্য এক শিক্ষিকাকে ক্লাসে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নতুন শিক্ষিকাও ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঠিক একই আচরণ করছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবারো অভিযোগ জানালেন ওই ছাত্রীর মা। অভিযোগ সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখতে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফুটেজে ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্থার ছবি ধরা পড়েছে। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই অভিযোগরে ভিত্তিতেই শিক্ষিকাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্কুল বোর্ডের সদস্য অ্যান্টনি স্ট্যানবেরি জানান, এই ঘটনা কখনও সহ্য করা হবে না। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের আর কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়, সে বিষয়ে আরও অনেক বেশি সচেতন থাকবে কর্তৃপক্ষ।
টিটিএন/এমএস