উইকিপিডিয়ায় প্রবেশ বন্ধ করেছে তুরস্ক


প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর অন্যতম অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তবে কেন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে; প্রাথমিকভাবে তা পরিষ্কার নয়।

তুরস্কের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্তৃপক্ষ (বিটিকে) বলছে, তারা উইকিপিডিয়ার ওপর আরোপিত বিধি-নিষেধ কার্যকর করেছে।

দেশটিতে ইন্টারনেট বিধি-নিষেধ পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ তুরস্ক ব্লক বলছে, তুর্কি কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উইকিপিডিয়ায় প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তুরস্কে উইকিপিডিয়ার সব ভাষার সংস্করণেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে কর্তৃপক্ষ।

বার্তাসংস্থা এএফপি’র এক প্রতিনিধি বলেছেন, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার ছাড়া ইসতাম্বুলের বাসিন্দারা শনিবার সকালে উইকিপিডিয়ার কোনো পেইজেই প্রবেশ করতে পারেননি।

বিটিকে এক বিবৃতিতে উইকিপিডিয়ায় প্রবেশ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ এ গ্রুপ।

তুর্কি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইন্টারনেট পরিচালনা আইনের ৫৬৫১ ধারা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং আইনি বিবেচনায় এই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তবে তুর্কি ব্লকস ও হুরিয়াত ডেইলি নিউজসহ দেশটির বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই নির্দেশের সমর্থনে আদালতের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনার প্রয়োজন হবে।

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া তুরস্কে সাধারণ ঘটনা। এর আগে টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ  সরকারবিরোধী বিভিন্ন সাইট একাধিকবার বন্ধ করে দেয়া হয় দেশটিতে।

সমালোচকরা বলছেন, তুর্কিদের বাক স্বাধীনতার জন্য এটি এক ধরনের ধাক্কা। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে তুরস্কের অবস্থান ১৫৫তম।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কর্তৃপক্ষ বলছে, কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধের অর্ধেক এসেছে তুরস্ক সরকারের কাছ থেকে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জয়ী হলেও দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে বিভাজন। এরদোয়ানের এই জয়ের ব্যাপারে উইকিপিডিয়ায় বিতর্কিত তথ্য যোগ হওয়ার আশঙ্কায় তা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে দাবি করেছেন সমালোচকরা।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার, বিবিসি।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।