গাছের গুড়ি আছে, গাছ নেই
গাছের গুড়ি আছে, গাছ নেই। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর-বাঘা সড়কে। পুকুর কাটা ও গর্ত ভরাটের নামে সরকারি গাছ ও রাস্তার জমি কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে রাস্তার দুই ধারে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছের গুড়ি পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি গাছ। নানা কৌশলে গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছে রাস্তার পার্শ্ববর্তী জমির মালিকসহ দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাঘা-লালপুর সড়কের পাইকপাড়া সেন্টার হতে আটটিকা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার মাঝে অবস্থিত জমির কয়েকজন মালিক রাস্তা সংলগ্ন তাদের জমি ভরাট ও পুকুর সংস্কার করছেন। তারা এ কাজ করতে গিয়ে সামাজিক বনায়ন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মাটিসহ উপড়ে ফেলছেন যার ফলে রাস্তার ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়ছে।
এছাড়াও মাটি দিয়ে আটটিকা ব্রিজটির মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জমাটবদ্ধ পানি নিষ্কাসনে সমস্যা হবে। এছাড়া কৃষকরাও ভোগান্তিতে পড়বেন বলে স্থানীয় কৃষকদের ধারণা।
এ ব্যাপারে পাইকপাড়া ব্রিজ হতে আটটিকা বাজার পর্যন্ত রোপণকৃত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জাগো নিউজকে জানান, কতিপয় জমির মালিকরা গাছ লাগানোর শুরু থেকেই গাছের ক্ষতির চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই অংশ হিসেবে তারা মাটি ভরাট ও পুকুর কাটার নামে সরকারি গাছ কর্তন ও রাস্তা সংলগ্ন জমির ক্ষতি করছেন এবং তাদের মদদেই রাস্তার বড় বড় গাছগুলো লোপাট হয়ে যাচ্ছে।
লালপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা সত্যেন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নেবার জন্য স্থানীয় উপকারভোগীদের বলেছি এবং আমাদের দফতর থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে, যাতে আর কোন ব্যক্তি বা দুস্কৃতিকারী সরকারি গাছ বা রাস্তার ক্ষতি হয় এমন কাজ না করে।
এ ব্যাপারে লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, সরকারি রাস্তা ও রাস্তা সংলগ্ন গাছ এবং জমির মালিক সরকার। কাজেই এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এমজেড/আরআই