মালিতে সেনা ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ১৯


প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ০১ মে ২০১৫

মালিতে সেনাবাহিনী ও প্রধান তুয়ারেগ বিদ্রোহী জোটের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ১০ জঙ্গি ও নয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর ফলে দেশের ভঙ্গুর শান্তি প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সরকার একথা জানায়। তুয়ারেগ নেতৃত্বাধীন কো-অর্ডিনেশন ফর দ্য মুভমেন্টস অব আজাওয়াদ (সিএমএ) মালির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় এক বছরের ভয়াবহ যুদ্ধকে আরও উস্কে দেয়। এদিকে তাদের যোদ্ধারা বুধবার মালির মধ্যাঞ্চলীয় লিয়ার শহরে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নয় সৈন্য নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় বিদ্রোহীরা ছয়জনকে জিম্মি করে এবং সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

অপরদিকে ওই সংঘর্ষে ১০ বিদ্রোহী নিহত ও ১৬ জন আহত হয়। এসময় হামলা চালিয়ে বিদ্রোহীদের দু’টি গাড়ি বিধ্বস্ত এবং ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তিয়েম্যান হুবার্ট কৌলিবালি বলেন, ‘লিয়ার শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দেশের স্বার্থে দৃঢ় মনোবল নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

বিদেশি এক নিরাপত্তা সূত্র বুধবার রাতে থেমে যাওয়া এ যুদ্ধের খবর নিশ্চিত করেছেন। ওই সূত্র আরও জানায়, যুদ্ধে ‘কোনো পক্ষ বিজয়ী হয়নি।’ বিদ্রোহীরা আগের মতোই শহরটির দক্ষিণাঞ্চল এবং অন্য সব এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নাইজার সীমান্তবর্তী মালির মেনাকা অঞ্চলে ‘অস্ত্রবিরতির বড় ধরনের লঙ্ঘনের কথা’ উল্লেখ করে বিদ্রোহীরা সেখানে অতর্কিত এ হামলা চালায়। তাই তাদের এ হামলা যথার্থ ছিল। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সোমবার সেখানে বামাকোপন্থী সৈন্যরা অবস্থান নেয়ায় এটি করা হয়।’

সিএমএর মুখপাত্র জানান, ‘বৈধ আত্মরক্ষার এই হামলা নতুন ভূখণ্ড দখলের দাবি এমন অর্থ বহন করে না। এদিকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন সিএমএ যোদ্ধাদের দায়ী করেন এবং মালির উত্তরাঞ্চলে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।